বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

২১ বছরেও সম্পন্ন হলো না বিচার

চাষাঢ়া বোমা হামলা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ভয়াবহ বোমা হামলা মামলার বিচার ২১ বছরেও হলো না। ২০০১ সালের ১৬ জুন রাতে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে আওয়ামী লীগ অফিসে ওই বোমা হামলায় দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২০ জন নেতা-কর্মী মারা যান। আহত হন সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানসহ আরও অনেকেই। হতাহতদের স্বজনরা মামলার বিচারকাজে ধীরগতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। চাষাঢ়া বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক) সাক্ষী ১৩৮ জন। দুই মামলারই বাদী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। ২১ বছরে মাত্র ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলাটি এখন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালতে বিচারাধীন। শামীম ওসমান এমপি বলেন, ‘নৃশংস এই ঘটনার ২১ বছর হয়ে গেল। কিন্তু বিচার পেলাম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ’৭১-এর ঘাতকদের বিচার করেছে, জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিচার করেছে। আমার বিশ্বাস তিনি ১৬ জুন বোমা হামলার বিচারও করবেন।’ তিনি বলেন, ‘ঘাতকরা ওই বোমা হামলা চালায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই। এতে ২০ জনের প্রাণ ঝরে গেছে। এজন্য আমি নিহতদের স্বজনদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাই।’ শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জঙ্গিদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলে। ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে তাদের গ্রেফতার করে। হোলি আর্টিজানের মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় আত্মগোপনে ছিল। জঙ্গিদের ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তেমন উদ্যোগী দেখা যায় না।’ তিনি নারায়ণগঞ্জে আরও যোগ্য ও চৌকশ কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানান।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম বলেন, ‘হত্যা মামলায় ৫৬ ও বিস্ফোরক মামলায় ৮২ জন সাক্ষী রয়েছেন। দুটি মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ওই ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এবং ঘটনায় আহত শামীম ওসমান এখনো সাক্ষ্য দেননি। গত বছরের ২৩ মার্চ তাঁর সাক্ষ্য প্রদানের কথা থাকলেও করোনার কারণে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৬ জুন বোমা হামলার ঘটনার পুনর্তদন্ত দাবি করেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর