স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন বহুবিধ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ ও বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী। জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে চিরদিন তাঁর অবদান স্মরণ করবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান। বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জাতীয় অধ্যাপক ড. শায়লা খাতুন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, হার্ভার্ড স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. বিমলাংশু দে, ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে সিভিল সার্ভিসে সুযোগ লাভ করা এই অনন্য প্রতিভাধর মানুষটি ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকাকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং পরে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেন। এ কারণে তাঁকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করা হয়। মোট ১১ বার এবং টানা নয়বার বাজেট প্রদানকারী সাবেক এই অর্থমন্ত্রী সিলেটকে সর্বদা ভালোবেসেছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও দূরদর্শী নির্দেশনায় দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সুসম্পন্ন হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আবুল মাল আবদুল মুহিত জনকল্যাণমূলক অসংখ্য প্রস্তাব গ্রহণে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। দারিদ্র্যের হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নারী জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতার সূচনায়, ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আবদুল মুহিত সার্বক্ষণিক কাজ করে গেছেন।