রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক আবাসিক ছাত্রের বিছানাপত্র সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় রাবির নবাব আবদুল লতিফ হলে ২০৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সজীব কুমার রাবির বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ছাত্র ও নবাব আবদুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শামীম হোসেন নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী সজীব বলেন, আমার বাবা একজন হার্টের রোগী এবং আমার মা টেরিজিয়াম রোগে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় আর্থিক সংকটে আমার লেখাপড়া চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
+৬এর কারণে আমি গত চার মাস ধরে বিভাগের বড় ভাইয়ের সঙ্গে ২০৪ নম্বর কক্ষে ভাগাভাগি করে থাকি। পরে মানবিক কারণে হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ আমাকে সিট বরাদ্দ দেন।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন আমাকে ২০৪ নম্বর কক্ষ ছেড়ে ৩৩২ নম্বরে ডাবলিং করে থাকতে বলেন। পরবর্তীতে গতকাল রাত ১১টার দিকে শামীমের অনুসারীরা আমার কক্ষে এসে বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়। পরে আমি এসে দেখি আমার সিটে দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মামুন নামের এক ছাত্রকে দেওয়া হয়েছে।অভিযোগ সম্পর্কে জানতে নবাব আবদুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান জানান, ‘সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ছেলে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। প্রশাসন থেকে নিষেধ আছে জুনিয়রদের সিট বরাদ্দ দেওয়া। আগের প্রাধ্যক্ষ তাকে মানবিক কারণে সিট বরাদ্দ দিয়ে গেছেন।
