শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

হাদিসুরের পরিবার পেল সাড়ে ৪ কোটি টাকার চেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। গতকাল রাজধানীর বিএসসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদিসুরের পরিবারের হাতে চেক হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি হাদিসুরের ভাইকেও বিএসসিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এমভি বাংলার সমৃদ্ধির অন্য ২৮ কর্মকর্তা ও নাবিককেও তাদের র‌্যাঙ্ক অনুযায়ী সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে ২০ মে মেরিনারদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (আইটিএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) সোয়া ১০ লাখ টাকার অর্থসহায়তা দেয় হাদিসুরের পরিবারকে। ওই সময় বিএমএমওএ সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ক্যাপ্টেন হাদিসুরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার বেশি) চেক দেবে বিএসসি। এ ছাড়া জাহাজটির অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের তাদের নিজ নিজ র‌্যাঙ্ক অনুযায়ী সাত মাসের সমপরিমাণ বেতনের চেক দেওয়া হবে।

জানা গেছে, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ৫ মার্চ হাদিসুরের লাশ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে অলভিয়া বন্দর-সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউস) থেকে মালদোভা হয়ে রোমানিয়া নেওয়া হয়। এরপর ৯ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। ১৪ মার্চ রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হাদিসুর রহমানের লাশ বরগুনার বেতাগীর কদমতলা গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। ১৫ মার্চ সকাল ১০টায় জানাজা শেষে হাদিসুরের দাদা-দাদির কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।

সর্বশেষ খবর