শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কালো টাকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম নিয়ে আপত্তি তুলে বিবৃতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ‘অনাকাক্সিক্ষত বিভ্রান্তি এড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ’ শিরোনামের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবাদ শিরোনামকে ‘অতি আকর্ষণীয় করার তাগিদে’ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশবিশেষ ‘ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে সবাই কালো টাকার মালিক’ ব্যবহার করায় ‘অনাকাক্সিক্ষত বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুরো সংবাদটি যদি কেউ না পড়ে, তাহলে এ ধরনের শিরোনাম ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। তাই প্রকৃত বক্তব্যটি খেয়াল করে প্রকৃত বার্তাটি পৌঁছে দিয়ে অনাকাক্সিক্ষত বিভ্রান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।’

অর্থমন্ত্রী তার ওই বক্তব্যে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমির যে দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়, জমির প্রকৃত দাম তার চেয়েও বেশি। কিন্তু বেশি দামে তো নিবন্ধন করানো যায় না, প্রতিটি মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে নিবন্ধন করা যাবে না। সুতরাং কালো টাকা তো সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে; কে কালো টাকার বাইরে আছে?’ একই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, হয়তো যে ফ্ল্যাট ২ কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম হয়তো ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি নিবন্ধন মাশুল পাচ্ছে না। এখানেই কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। ঢাকা শহরে যার জায়গা আছে কিংবা যে ব্যক্তি জায়গা কিনেছেন, শুধু তিনিই বলতে পারবেন, কত টাকায় নিবন্ধন হয়েছে এবং জমির প্রকৃত বাজারদর কত। সুতরাং ঢাকা শহরে যাদের জমি বা ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই এক অর্থে কালো টাকার মালিক। তবে এ পরিস্থিতির জন্য আমাদের  বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যবস্থা দায়ী।’

সর্বশেষ খবর