শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা খুলনায়

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘ক্লাইমেট-স্মার্ট অভিযোজন’ প্রযুক্তি চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ ফসলের বৈচিত্র্যায়নে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে ‘ক্লাইমেট-স্মার্ট অভিযোজন’ প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর সাময়িক পতিত জমি ও ৬৬ হাজার হেক্টর স্থায়ী পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে úানি ব্যবস্থাপনা, উচ্চমূল্যের ফল ও সবজির আবাদ ৮-১০ শতাংশ বৃদ্ধি ও টেকসই জাত এবং অভিযোজন কৌশলে ফসলের বৈচিত্র্যায়ন করা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

জানা যায়, খুলনা অঞ্চলে ২৮টি উপজেলা ও দুটি মেট্রো এলাকায় এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতি মোকাবিলায় ‘ক্লাইমেট-স্মার্ট অভিযোজন’ প্রযুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্প কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক জানান, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে রোপা আমন ধান কাটার পর ওই জমিতে বিনা চাষে সরিষা, খেসারি, মসুর ডালের চাষ, উচ্চফলনশীল লবণসহিষ্ণু ধান ও গমের জাত সম্প্রসারণ, চুইঝাল আদা হলুদের আন্তঃফসল চাষ, পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ, ঘেরের আইলে লতানো সবজি চাষসহ প্রদর্শনী ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ফল-সবজি মসলা ফসল চাষাবাদে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্প এলাকায় লবণাক্ততা ও সেচের পানির অভাবে যেখানে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে অনেক জমি পতিত থাকে, সেখানে ৬০০ ঘনমিটার করে ৭০০টি মিনি পুকুর খনন করে পানি সংরক্ষণ করা হবে। খুলনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আয়োজিত এ সংক্রান্ত ‘জাতীয় কর্মশালা’য় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশল হিসেবে লবণাক্ত বা পতিত জমিকে খননকৃত ওই পুকুরের পানি দিয়ে সেচের মাধ্যমে চাষের আওতায় আনা হবে। জলবায়ু ঝুঁকির স্থানগুলোতে উৎপাদন পরিবেশ বজায় রাখতে ক্যাপসিকাম, গ্রীষ্মকালীন টমেটো, ব্রোকলি, স্ট্রবেরি, ফুল জারবেরা, গ্লাডিওয়াস, রজনীগন্ধা চাষে প্রকল্প এলাকায় প্রতি ৮০০ বর্গমিটার আয়তনের মিস্ট ও ড্রিপ সেচ সংবলিত আটটি পলি নেট হাউস নির্মাণ করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. বেনজীর আলম জানান, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে।

 প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পতিত জমিতে ফসলের নিবিড়তা বাড়বে ও টেকসই জাত সম্প্রসারণ এবং অভিযোজন কৌশলের মাধ্যমে ফসলের বৈচিত্রায়ন ঘটবে।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর