কোরবানি ঈদের জন্য এবার খুলনা জেলায় চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় পশু ঘাটতি রয়েছে। বিভাগে বিভিন্ন জেলায় পর্যাপ্ত পশু লালন-পালন হলেও খুলনা জেলায় ২৩ হাজার ৮৬৭টি পশুর ঘাটতি আছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের হিসাবে খুলনার পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলায়ও ৫ শতাধিক পশুর ঘাটতি রয়েছে। তবে আশপাশের জেলাগুলোতে খামারিদের গরু-ছাগল-মহিষ বেশি থাকায় বিভাগের বাইরে থেকে পশু আনতে হবে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে চাহিদামতো পশু না থাকায় হাটে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন খামারিরা। তারা বলছেন, হাটে চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকলে দাম কমে যায়। চাহিদামতো পশু থাকলে দামাদামি করে বিক্রি করা যায়।
জানা যায়, গত বছর খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ৮ লাখ ৭৯ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। এবারও কাছাকাছি একই সংখ্যক পশু কোরবানিতে প্রয়োজন হবে।প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, খুলনা জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ৫৭ হাজার পশু প্রয়োজন হলেও খামারিরা ৩৩ হাজার ৬০০টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৩৫ হাজার ৮৪৮টি, সাতক্ষীরায় ৫২ হাজার ৬২৯টি, যশোরে ৫৩ হাজার ৬৯৬টি, ঝিনাইদহে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৪১টি, মাগুরায় ৩১ হাজার ৯৯৭টি, নড়াইলে ২৮ হাজার ৬৬৩টি, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৭১টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২১৮টি, মেহেরপুরে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮৬টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালক ডা. সুখেন্দু শেখর গায়েন জানান, কোরবানির হাটে পশু বিক্রির জন্য খামারিরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। খুলনা জেলায় পশুর কিছুটা ঘাটতি থাকলেও নড়াইল, মাগুরা ও কুষ্টিয়া থেকে পশু এখানকার হাটে এনে বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, খুলনার তেরখাদা, ফুলতলা, রূপসা, দিঘলিয়া ডুমুরিয়া উপজেলায় খামারের সংখ্যা বেশি। স্থানীয় হাটগুলোতে এরই মধ্যে গরু উঠতে শুরু করেছে। কোরবানিতে গরু বাজারজাত করে ভালো আয় করতে পারেন তাই এখনই প্রস্তুতি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।