রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

শৌখিন গাছ ‘বোতল ব্রাশ’

রাকিব হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শৌখিন গাছ ‘বোতল ব্রাশ’

শৌখিন গাছ ‘বোতল ব্রাশ’। যার বৈজ্ঞানিক নাম Callistemon viminalis. গাছটি বাড়ে খুব ধীরে। এটি দিয়ে বনসাইও করা সম্ভব। শোভাবর্ধক হিসেবেও বৃক্ষপ্রেমীরা লাগিয়ে থাকেন।

বিলুপ্তপ্রায় এ গাছটির দেখা মেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিমনেসিয়াম ও শহীদ মিনার এলাকায়। গাছটি ঝাপটানো হওয়ায় নিচে ছায়া থাকে। এখানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও অনুষ্ঠান করে। পাখিরা ফুলের ওপর বসে খুনসুটিতে মেতে ওঠে। গাছটির পাশে ফটোসেশন ও সেলফি তুলে স্মৃতি করে রাখে অনেকে। ক্যাজুপুট গোত্রের প্রজাতির ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ সরু পাতা ও ডালগুলো ঝুলে থাকে। গাছটিতে সারা বছর কয়েকবার ফুল ফোটে। সরু ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ ফোটে নিখুঁত অনেক ফুল। ফুল শেষে ছোট ছোট ফল হয়। ফলে অসংখ্য বীজ থাকে। বীজ বা কলম থেকে চারা হয়। ফুলের অগ্রভাগ ও নিচে রয়েছে সবুজ পাতা।

গাছের ফুল ও পাতায় হালকা মিষ্টি গন্ধ প্রকৃতিপ্রেমী শিক্ষার্থীদের মাতোয়ারা করে তোলে। তবে ফুলের রেণু বাতাসের মাধ্যমে নাকের ভিতর গিয়ে অ্যাজমা রোগীদের হাঁচি-কাশির উদ্রেক ঘটাতে পারে। আর ফুলটি শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষতিও করে। ফলে এটি ক্ষতিকর গাছ বলেও পরিচিত। গাছটি সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছর বাঁচে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল আলিম বলেন, ‘গাছটির নিচে ছবি তুললে ভালান্ডে ছবি ওঠে। এ ছাড়া গাছটির নিচে আড্ডা আর খুনসুটিতে মাতেন শিক্ষার্থীরা।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর