সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

নদী খননে আরও চার গুণ অর্থায়ন দরকার : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদী খননে আরও চার গুণ অর্থায়ন দরকার : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নদী-নালার নাব্য কমে যাওয়া সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার অন্যতম কারণ উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী খননে আরও চার গুণ বেশি অর্থায়ন করতে হবে। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে নদী-নালা, খাল-বিল রক্ষা করতে হবে। শুধু দখলের দিকে নয়, দূষণের দিকেও নজর দিতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার নদ-নদী : সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপপ্রধান (মরফোলজিস্ট) এম এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন প্রমুখ। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষায় গত ৫০ বছরে যত আইনি বিধিবিধান তৈরি হয়েছে; তার সবগুলোই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হয়েছে। অন্যান্য সরকারের সময় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।দেশের গুরুত্বপূর্ণ চারটি নদীসহ অন্যান্য নদী রক্ষায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর নদী রক্ষায় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। পদে পদে চ্যালেঞ্জ ছিল। সাহসের সঙ্গে সামনে এগিয়েছি। আমাদের সাহসের মূল শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পরিবেশের উন্নয়ন নিয়েও কাজ করছেন। নিজস্ব অর্থ দিয়ে করছেন। ১৩ বছর ধরে তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ধারাবাহিক সরকারের সুফল আমরা এখন টের পাচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া ভুল ছিল; এটা বিশ্বব্যাংক স্বীকার করেছে। প্রধানমন্ত্রী দিনবদলের সনদ দিয়েছেন। সবকিছু বদলে দিতে হবে।

বিভিন্ন গবেষণায় বাংলাদেশি ট্যালেন্টদের কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নদীদূষণের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণ বার্ষিক ২৮৩ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংক কী গবেষণা করছে তাও ভেবে দেখার বিষয়। তাদের কোনো স্টাডি বাংলাদেশের উপকারে লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ছিলেন, বিশ্বব্যাংক বলেছিল কৃষি খাতে ভর্তুকি দিলে সরকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সে কথা শোনেননি। কৃষকদের তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। স্টাডিতে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে হবে। এসব স্টাডি করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমরা যে স্টাডি করব সেটা নিয়েই এগিয়ে যাব। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু লোক শুধু সমালোচনার জন্যই সমালোচনা করে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের উচ্চতা ও আত্মমর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। দেশ পরিচালনায় তিনি যে সাহস ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন, আগামী দিনে তা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মুখে উচ্চারিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর