বুধবার, ২২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ড. কামালকে এনবিআরের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতায় স্থিতাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. কামালকে এনবিআরের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতায় স্থিতাবস্থা

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের ল’ চেম্বারের (ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস) কাছে অতিরিক্ত ৬ কোটি টাকা কর দাবি করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিসের কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কাছে এনবিআরের কর দাবি সংক্রান্ত কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট। কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের (সার্কিট বেঞ্চ-২) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কর অঞ্চল-১৫ এর ডেপুটি কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ, রমজান আলী শিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন ডেপুটি কমিশনার ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক নোটিসে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস থেকে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা আয়কর এবং আরও ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করেন। তার আগে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয়কর দাখিলের রিটার্ন দাখিল করে। কিন্তু ওই অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকা মোট আয় দেখিয়ে ওই টাকা দাবি করে এনবিআর।

রাজস্ব বোর্ডের ডেপুটি কমিশনারের ওই কর দাবির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করে কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন তা খারিজ করে আদেশ দেওয়া হয়। এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ট্যাক্সেস আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। সেটি খারিজ হওয়ার পর কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষে আইনজীবী শরীফ এম এন ইউ ভূইয়া গত ২৪ মে হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন।

আদেশের পর আইনজীবী রমজান আলী শিকদার সাংবাদিকদের জানান, আমরা আগেই ট্যাক্সের সব অর্থ পরিশোধ করেছি, এরপর তাদের (এনবিআর) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করতে হলে মোট দাবির ওপর ১০ শতাংশ অর্থ জমা দিতে হয়। সেই অনুযায়ী ৮৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলাম। এরপর আমরা হাই কোর্টে রিট করি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের অ্যাসেসমেন্টের পর নির্দেশনা অনুযায়ী আরও ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা করি। এখন ১০ শতাংশ পরিপূর্ণ হয়েছে। আজ (গতকাল) আদালত আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা প্রশ্নের রুল জারি করেছেন এবং ওই কর বর্ষের কর আদায় সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর