বুধবার, ২২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশের ৮০ লাখ নলকূপের পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত

সংসদে তথ্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ‘পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৩৫ উপজেলার ৩ হাজার ২০০ ইউনিয়নে ৮০ লাখ নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। জনগণকে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের জন্য দেশব্যাপী চারটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। বগুড়া-৫ আসনের এমপি মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এসব প্রকল্পে অধিদফতর স্থাপিত ১২টি জোনাল ও একটি কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির সাহায্যে পানির গুণগতমান পরীক্ষার মাধ্যমে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫২ জেলায় ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে এবং যার মাধ্যমে ৬৪ জেলায় পানির গুণগতমান পরীক্ষা করে আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সহজ হবে। এ ছাড়া পল্লী অঞ্চলে ৬ লাখ ৭ হাজার ৬৩৭টি পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে এবং ৫৪ জেলার ৩৩৫ উপজেলায় আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

রাজধানীতে পানির সরবরাহে ঘাটতি নেই : জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন সক্ষমতা বেশি। তাই রাজধানীতে চাহিদা অনুযায়ী পানির সরবরাহে ঘাটতি নেই। তিনি জানান, ঢাকার উভয় সিটি এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০-২৬৫ কোটি লিটার। আর ঢাকা ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদন সক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার। সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

এজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে পানিপ্রবাহ সচল রাখার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পলি অপসারণ, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও দুই পাশে ফেনসিং স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে : একই প্রশ্নকর্তার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার বসতবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জমা করা হয়। সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জমাকৃত বর্জ্য ডাম্প ট্রাক ও কনটেইনারের মাধ্যমে আমিনবাজার স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবস্থাপনা করা হয়। একইভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ল্যান্ডফিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৫০ একর জায়গায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও ৩১ একর জায়গায় বর্জ্য হ্রাস, পুনর্ব্যবহার, রিসাইক্লিং ও শক্তি উৎপাদনের জন্য ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর