বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ছাদবাগানে নানা ফল ও ফুল

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

ছাদবাগানে নানা ফল ও ফুল

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সরকারি বাসভবনের ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফুল ও ফল। যা দেখলে যে কারও নজর কাড়ে। ছাদবাগানে রয়েছে- আম, কমলা, মাল্টা, ড্রাগনসহ নানা ফল। এ ছাড়া রয়েছে বিরল প্রজাতির কিছু গাছও। প্রায় ১০০ প্রজাতির সাড়ে ৬০০ গাছ নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন এ ছাদবাগান। প্রায় ৪০ হাজার বর্গফুটের বিশাল এ ছাদবাগান এখন অনেক দর্শনীয়। অনেকের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ছাদকৃষিতে আগ্রহী বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে এটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ১৮টি শাখা ও কয়েকটি দফতর নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুই ভবনবিশিষ্ট বিশালাকারের ছাদ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল অব্যহৃত। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের উদ্যোগে এ ছাদকে সবুজময় ছাদে পরিণত করার জন্য এক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল। ইতোমধ্যে ছাদে লাগানো গাছে ফুল ও ফল ধরেছে। ফল দিয়ে কখনো আপ্যায়ন করা হচ্ছে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের অতিথিদের। প্রতিদিন ব্যতিক্রমী ছাদবাগান দেখতে ছুটে আসছেন অনেক মানুষ। সরেজমিনে জানা যায়, এ ছাদবাগানে সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে- ব্লাকবেরি, কিউজাই, রেড পালনারসহ আট ধরনের আম, দার্জিলিং, ভুটানি, কানপুর ও তৃপ্তি জাতের কমলা, বারি মাল্টা, বারি, থাই, স্ট্রবেরি ও গোল্ডেন জাতের পেয়ারা, থাই সাদা জাম, বারোমাসি আমড়া, ভাগোরা ও পাকিস্তানি জাতের ডালিম, লেবু, থাই কলা ও ড্রাগনসহ বিরল জাতের নানা ফলের গাছ। প্রায় সাড়ে ৬০০ টবে চারা লাগানো হয়েছে। অনেক চারা বড় হয়ে ফলবতী হয়েছে। গোলাপসহ নানা ফুল সৌরভ ছড়াচ্ছে ছাদজুড়ে। কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও দর্শনার্থীরা নতুন নতুন গাছের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন এ ছাদবাগানে এসে। সুস্বাদু ফলের স্বাদ নিচ্ছেন কেউ কেউ। 

দর্শনার্থী কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নূর বখত জানান, মাত্র এক বছরের মধ্যে যে ছাদকৃষি এভাবে ফল দিতে পারে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এটা উপকারে আসতে পারে, তার অনন্য দৃষ্টান্ত এ ডিসি অফিসের ছাদবাগান। সংগীতশিল্পী দেবাশীষ রায় জানান, এত বড় ছাদবাগান কুড়িগ্রামে নেই। এ সুন্দর বাগানে ঘুরে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, ভবিষ্যতে ছাদবাগান করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়টি অনেক বড় আয়তনের। বিশাল ছাদে শখের বসে ছাদকৃষি শুরু হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে নানা জাতের ফল ও ফুলসহ বিভিন্ন গাছের চারা সংগ্রহ করে লাগানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে এগুলো এখন বড় হচ্ছে, প্রসারিত হচ্ছে ছাদবাগান। এরকম একটি ছাদকে কাজে লাগিয়ে এত বড় ছাদবাগান করা সম্ভব- এ অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই বাগানটি করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর