বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘মাধব মালঞ্চী’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘মাধব মালঞ্চী’

থিয়েটার আর্ট ইউনিট মঞ্চে এনেছে দলটির নতুন নাটক ‘মাধব মালঞ্চী’। গত সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হয়। নাটকটি ছিল দলের ৩৬তম প্রযোজনার দ্বিতীয় মঞ্চায়ন। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন রোকেয়া রফিক বেবী। দুর্লভ রাজার ছোট পুত্র মাধব। রানির মৃত্যুর পর রাজা মাধবকে লালনপালনের দায়িত্ব দেন তার বড় পুত্রবধূ চন্দ্রবনকে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুর্লভ রাজার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে রাজা হওয়ার বাসনায় রাজপুত্রদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ভবিষ্যৎ রাজা ঠিক করার জন্য গণনা করা হয় এবং তিনবারই গণনায় মাধবের নাম আসে। এ ঘটনায় বড় ভাইয়েরা মাধবকে মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু করলে চন্দ্রবন আদরের দেবরকে পাঠিয়ে দেন দূরদেশে। একদিন সুদর্শন মাধবের প্রেমে পড়ে রাজকন্যা মালঞ্চী। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- নুরুজ্জামান বাবু, মানিক, সজল, ইসমাইল সিরাজী, রানা সিকদার, লেমন, ক্ষমা, ঐতিহ্য, বাঁশরী, তানভীর, ভাবনা, সুজন, লেলিন, ইন্দ্রাণী, দোলন, ফারহানা, ফুয়াদ, প্রদীপ, মোকাদ্দেম প্রমুখ।

সফিউদ্দীন আহমেদের শততম জন্মবার্ষিকীতে চারুকলায় উৎসব : বাংলাদেশ ও ভারতের প্রিন্টমেকিংয়ের জনক শিল্পগুরু সফিউদ্দিন আহমেদ শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হচ্ছে দুই দিনের উৎসব। ছাপচিত্র প্রদর্শনী, সফিউদ্দীন সম্মাননা পদক প্রদান, পুনর্মিলনী, আলোচনা, স্মৃতিচারণাসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে প্রিন্টমেকিং বিভাগ আয়োজিত এ উৎসব। আজ সকাল ১০টায় জয়নুল গ্যালারিতে উৎসবের উদ্বোধন করবেন শিল্পী রফিকুন নবী।

গতকাল চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং বিভাগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকসংশ্লিষ্টরা। এতে উপস্থিত ছিলেন জন্মশতবর্ষ ২০২২ উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা, সদস্যসচিব অধ্যাপক আনিসুজ্জামান— প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলে চলছে মাসব্যাপী ‘বাংলা’ শীর্ষক প্রদর্শনী : ব্রিটিশ কাউন্সিল ও লন্ডনের আঞ্চলিক ইতিহাস সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘টাওয়ার হ্যামলেটস’-এর যৌথ আয়োজনে ব্রিটিশ কাউন্সিলে চলছে ‘বাংলা’ শীর্ষক মাসব্যাপী প্রদর্শনী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়েছে।

এতে প্রদর্শিত হচ্ছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির নাগরিক গবেষকদের বিভিন্ন শিল্পকর্ম। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস অঞ্চলের জনগণের কীর্তি এবং ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধের ঐতিহ্যের ধারা স্থানীয় কমিউনিটির মাঝে তুলে ধরা হয়েছে এ প্রদর্শনীতে। নাগরিক গবেষকদের সংগৃহীত প্রদর্শনীর উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে- লেখা, আলোকচিত্র, মানচিত্র, ছবি, সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রভৃতি। ১৬ জুন শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর