শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীকে মারধর করে বের করে দিল ছাত্রলীগ

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে মাঝরাতে ছাত্রকে কিল-ঘুষি মেরে বের হয়ে যেতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল লতিফ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী এই অভিযোগ তোলেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মুন্না ইসলাম। তিনি আবদুল লতিফ হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম এবং তার অনুসারী পারভেজ ও তওহীদ।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, রাত ২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা শামীমের কিছু অনুসারী ২৪৮ নম্বর কক্ষে এসে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন। যেতে না চাইলে তারা জোর করে বিছানাপত্র ও অন্য জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে মারেন। তারপরও বের না হয়ে বিছানার ওপর বসে পড়লে পারভেজ ও তওহীদ দুজন খুব বাজে ব্যবহার করা শুরু করেন। তারপর তওহীদ নামের ছেলেটি ঘাড় চেপে ধরে টানতে টানতে ওই ছাত্রকে দরজার কাছে নিয়ে পিঠে দুইটা কিল দেন।

ভুক্তভোগী মুন্না ইসলাম বলেন, গত পাঁচ মাস যাবৎ এখানে আমি আছি। আবাসিক কার্ডও আছে। অথচ মাঝরাতে এভাবে কক্ষে ঢুকে একজন আবাসিক ছাত্রকে কিল-ঘুষি মেরে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক সিট দখল করছে ছাত্রলীগের ওই নেতারা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চেয়েছেন এই শিক্ষার্থী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম জানান, মুন্না নামের ছেলেটা ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ সেশনের কোনো শিক্ষার্থী হলে উঠতে পারবে না। কিন্তু তার পারিবারিক সমস্যা বিবেচনা করে প্রাধ্যক্ষ সিট বরাদ্দ দিয়েছেন। অন্য আরেকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীও বরাদ্দপ্রাপ্ত। তাই তাকে সিট ছেড়ে অন্য রুমে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। তাকে কোনো ধরনের মারধর কিংবা কিল-ঘুষি মারা হয়নি বলে দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাতের ওই বিষয়ে কিছুটা জেনেছি। তাকে সে কক্ষেই থাকতে বলেছি। সে আবাসিক শিক্ষার্থী, তার সে কক্ষে থাকার অধিকার রয়েছে।

সর্বশেষ খবর