শিরোনাম
শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা আই হসপিটালে বিনামূল্যে ৩৫ রোগীর অপারেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা আই হসপিটালে বিনামূল্যে ৩৫ রোগীর অপারেশন

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব-দুস্থ ৩৫ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি, মাংস বৃদ্ধি ও নেত্রনালি অপারেশন করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ ফ্রি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ডা. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. রুবিনা আক্তার এবং ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি। ৯ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারীসহ মোট ৩৫ রোগীর অপারেশন করা হয়। এর মধ্যে ৩১ জনের ছানি, তিনজনের মাংস বৃদ্ধি এবং একজনের নেত্রনালির অপারেশন করা হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এডমিন, এইচআর) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে। এ ক্যাম্পটি গত ৩ জুন শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সেখানকার ৩৫ জন রোগীর এ অপারেশন করা হয় বলেও জানান তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা বেগম বলেন, বসুন্ধরা আই হসপিটাল আমাদের ভালো সাহায্য করছে। আমার চোখের মাংস বেড়ে গেছে, এটা ব্যয়বহুল চিকিৎসা বলে করাতে পারছিলাম না। কিন্তু বসুন্ধরা আই হসপিটালে আমাদের বিনামূল্যে অপারেশন করা হচ্ছে, এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগী দুলি বেগম বলেন, আমি ডান চোখে দেখতে পাই না। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। আমার এক ভাই এখানে পাঠিয়েছেন। এখানকার ডাক্তার ও নার্সরা অনেক ভালো সেবা দিচ্ছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছি। এ জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন এ হাসপাতালের আরও উন্নতি হয় এবং আমাদের মতো এরকম অসহায় মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারে। নিজের বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছি এমনটাই মনে হচ্ছে বলে জানালেন আবজা বানু। এখানকার পরিবেশ এবং খাবার দাবার অনেক ভালো। এত সুন্দর পরিবেশে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারব বলে কখনো ভাবিনি। তিনি বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতি কৃতজ্ঞ বলে জানান। চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাম্প চিফ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তিন বছর ধরে আমাদের এ ক্যাম্প চলছে। এ পর্যন্ত ২০৩ জন রোগীকে এখান থেকে চিকিৎসা দিয়েছি। করোনার কারণে দুই বছর সেবা বন্ধ ছিল। বসুন্ধরা আই হসপিটাল যে সেবা রোগীদের দিচ্ছে, তাদের আন্তরিকতা এবং চিকিৎসা পেয়ে মুগ্ধ। এরকম ভালো প্রতিষ্ঠান আরও হওয়া উচিত। তাহলে সমাজে যারা অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না, তারা অন্ধত্ব থেকে বেঁচে যেত। এ জন্য আমি এবং আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডি ও ভাইস চেয়ারম্যানদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানাই।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর