ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরুর পর পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫টি রুটের বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ। দূরত্ব ও বাসের আসন অনুযায়ী নতুন ভাড়ার তালিকা তৈরি করে বৃহস্পতিবার তা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। খবর বিডিনিউজের। নতুন তালিকা অনুযায়ী ৪০ আসনের একটি বাসে ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে একজন যাত্রীর ভাড়া ৪২ টাকা বাড়িয়ে ৪৫৪ টাকা করা হয়েছে। ৯ জুন এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১২ টাকা। আগে ঢাকা থেকে বরিশাল ফেরি পারাপার বাসে ৪০২ টাকা ছিল। পদ্মা সেতুর  সংযোগ এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার পোস্তগোলা হয়ে মাওয়া পেরিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়ক ব্যবহারের জন্য গতকাল থেকে টোল দিতে হচ্ছে।

এ জন্য দেশের বৃহত্তম এ সেতু ধরে দক্ষিণের জনপদে চলাচলকারী বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঢাকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী বাসের টিকিটের জন্য আরও বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এর আগে গত ৯ জুন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি রুটের ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা বাড়ায় বিআরটিএ। বৃহস্পতিবারের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিআরটিএ অনুমোদিত এসব রুটে পদ্মা বহুমুখী সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে নির্ধারিত টোল এবং ফেরি ভাড়া সংযোজনের পর নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন তালিকায় ঢাকা থেকে বরিশাল রুটের বাইরে ৪০ আসনের বাসে অন্য রুটের ভাড়া ঢাকা-গোপালগঞ্জ ৪২৩ টাকা, ঢাকা-খুলনা ৫৭৫ টাকা, ঢাকা-শরীয়তপুর ২৫৭ টাকা, ঢাকা-পিরোজপুর ভায়া বরিশাল ৫৮০ টাকা, ঢাকা-পিরোজপুর ভায়া বাগেরহাট ৬১৯ টাকা, ঢাকা-পটুয়াখালী ৫৬১ টাকা, ঢাকা-মাদারীপুর ৩৪৪ টাকা, ঢাকা-সাতক্ষীরা ৬৮৯ টাকা, ঢাকা-ফরিদপুর ৩২৩ টাকা, ঢাকা-শরীয়তপুর ভায়া বাবুবাজার ব্রিজ ২৫৭ টাকা, ঢাকা-কুয়াকাটা ৭৬৭ টাকা, কক্সবাজার-বরিশাল ১৩৮৮ টাকা, চট্টগ্রাম-খুলনা ১১৯২ টাকা এবং চট্টগ্রাম-বরগুনা ১২৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিআরটিএ বলছে, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে চলাচলকারী বাসের ভাড়ার সঙ্গে আরও বাড়তি টাকা যোগ হবে। ৪০ আসনের বাসে আরও ৯ টাকা এবং ৫১ আসনের বাসে আরও ৬ টাকা ৭২ পয়সা বেশি ভাড়া দিতে হবে।