বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে আশা জাগাচ্ছে মোংলা

বিপুল পরিমাণ গার্মেন্ট পণ্য নিয়ে বন্দর ছাড়ল জাহাজ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

পদ্মা সেতু চালুর পর স্বল্প দূরত্বের যোগাযোগ সুবিধাকে কাজে লাগাচ্ছে মোংলা সমুদ্রবন্দর। চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ৩০ টিইইউস (১৬ কনটেইনার) গার্মেন্ট পণ্য নিয়ে বন্দর ছেড়েছে মারস্ক নেসনা পানামা জাহাজ। ঢাকার মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠানের এসব গার্মেন্ট পণ্য যাচ্ছে পোল্যান্ড ও সুইডেনে। এদিকে মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকে নতুন মাইলফলক বলছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিপিং এজেন্টরা। তাদের মতে, কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই কম সময়ে মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির সুযোগ থাকায় আগ্রহী হচ্ছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের মে পর্যন্ত মোংলা জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে খালাসকৃত পণ্যের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন। বিপরীতে কনটেইনারে পণ্য বোঝাই হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন। প্রায় আমদানিনির্ভর সমুদ্রবন্দরটি দিয়ে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন নীতি-নির্ধারকরা। মোংলা বন্দরের হারবার ও মেরিন সদস্য কমডোর মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা বন্দর দূরত্বের দিক দিয়ে ঢাকার সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। এতে এ সমুদ্রবন্দর দিয়ে আরএমজি (রেডিমেড গার্মেন্ট) রপ্তানিতে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে পরীক্ষামূলক দুয়েকটি কনটেইনারে গার্মেন্ট পণ্য এ বন্দর দিয়ে গেছে। তবে এবার প্রথমবারের মতো ৩১টি প্রতিষ্ঠানের গার্মেন্ট পণ্য নিয়ে বড় জাহাজ বন্দর ছেড়েছে। এতে এ বন্দরে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিভিন্ন গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্য রপ্তানিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় তারা ঢাকা থেকে স্বল্প দূরত্বে মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি শুরু করেছেন। সিএন্ডএফ ও শিপিং এজেন্ট সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে জাহাজের চাপের কারণে অনেক সময় পণ্য লোড-আনলোডে সময়ক্ষেপণ হয়। কিন্তু মোংলা বন্দরে সেই চাপ নেই। এক দিনের মধ্যে জাহাজ সরাসরি জেটিতে আসতে পারে। রপ্তানিকারকদের আকৃষ্ট করতে নানারকম সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। বন্দরের সক্ষমতা ও অবকাঠামো অত্যাধুনিক। তিনি বলেন, ডেনিস কোম্পানি মারস্ক নেসনা জাহাজে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানির পর আরও অনেকে এই বন্দর দিয়ে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহ জানিয়েছেন। ফলে সড়কপথে স্বল্প দূরত্বে ও বন্দরে অবকাঠামো সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানিতে নতুন মাইলফলক তৈরি হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর