বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিনে ২৩ নবজাতকসহ ৭০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঈদের বন্ধের তিন দিন দুই শিশু ও ১১ নবজাতকসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদের বন্ধে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা না পেয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮৩ জন এবং পালিয়েছেন পাঁচজন রোগী। হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয়ের ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে জানা যায়, ৭ জুলাই শেরেবাংলা মেডিকেলে নতুন ৩৫১ রোগী ভর্তি হন। এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫১ রোগী। স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩২ জন। অন্য হাসপাতালে গেছেন ৩৮ জন। পালিয়ে গেছে তিনজন। চিকিৎসাধীন ছিল ১ হাজার ৭৩ রোগী। ওইদিন চার নবজাতক এবং তিনজন শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জুলাই ২৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২৫ রোগী। স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৩ রোগী। অন্য হাসপাতালে গেছেন ২৯ জন। চিকিৎসাধীন ছিলেন ১ হাজার ৪৩ জন রোগী। এদিন আটজন নবজাতকসহ ১৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঈদের সরকারি বন্ধের প্রথম দিন ৯ জুলাই ৩৪৬ রোগী ভর্তি হন। ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি গেছেন ২৪৫ জন। স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়েছেন ১১৬ জন। অন্য হাসপাতালে গেছেন ২১ জন। চিকিৎসাধীন ছিলেন ১ হাজার ১২ রোগী। ওইদিন পাঁচ নবজাতক এবং দুই শিশুসহ ১৭ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিন ১০ জুলাই ৩০৫ জন রোগী ভর্তি হন। ঈদের দিন দুই নবজাতকসহ ছয়জন রোগীর মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ১১ জুলাই ৪১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার নবজাতকসহ ১৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, হাসপাতালে গড় মৃত্যুর হার স্বাভাবিক আছে। সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চলেছে বলে তিনি দাবি করেন।