শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সরোয়ারকে এড়িয়ে চলার নীতিতে নগর কমিটি নেতারা

বরিশাল বিএনপি

রাহাত খান, বরিশাল

বর্তমান মহানগর আহ্বায়ক কমিটির নেতারা এড়িয়ে চললেও নিজে যেচে তাদের সঙ্গে করমর্দন ও কুশল বিনিময় করলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য এবং দলের যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্তমান কমিটির নেতাদের এড়িয়ে চলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরোয়ার। মহানগর বিএনপি নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক দশকের পুরনো বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গত ৩ নভেম্বর বিলুপ্ত করে তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ওই কমিটি থেকে ছিটকে পড়েন বরিশাল বিএনপির প্রায় তিন দশকের একক অধিপতি সরোয়ার। ২২ জানুয়ারি গঠিত ৪৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতেও স্থান হয়নি সরোয়ার কিংবা তাঁর কোনো অনুসারীর। এর পর থেকে সাবেক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বর্তমান কমিটির নেতাদের মুখ দেখাদেখিও প্রায় বন্ধ। দীর্ঘদিন পর গতকাল বাদ জোহর মহানগরের দক্ষিণ আলেকান্দা নুরিয়া কিন্ডারগার্টেন মাঠে যুবদল নেতা ফজলুল বারী চয়নের মায়ের নামাজে জানাজা আদায়ের জন্য এক কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। জানাজা নামাজ শুরুর আগে সরোয়ার নিজে থেকেই মনিরুজ্জামান ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুলসহ অন্যদের সঙ্গে যেচে করমর্দন করেন। ফারুকের কুশলও জিজ্ঞাসা করেন। জানাজা নামাজ শেষে স্থানীয় অনুসারী নেতারা ঘিরে ধরেন সরোয়ারকে। তাঁদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ হয় তাঁর। এ সময় ফারুক একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ালে তাঁকেও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির নেতারা ঘিরে ধরেন এবং খোশগল্প করেন। জানাজা নামাজের শেষ পর্যায়ে আসা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মীর জাহিদও ফারুকের জটলায় যুক্ত হন। বর্তমান কমিটির কোনো নেতাই নিজে থেকে যেচে সরোয়ারের কাছে যাননি। বেশ কিছুক্ষণ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপের পর মাঠ থেকে বের হন সরোয়ার। এর আগে গেটের কাছে আলাপচারিতায় থাকা ফারুক, জাহিদসহ অন্যরা মাঠ থেকে বের হয়ে সড়কের অন্য পাশে গিয়ে অবস্থান নেন। সরোয়ার তাঁর গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ার পথে আবার গাড়ি থামিয়ে ফারুক-জাহিদের কাছে নেমে করমর্দন করেন এবং কুশল জিজ্ঞাসা করেন। সিনিয়র নেতা হয়েও সরোয়ারের যেচে পড়ে জুনিয়র কর্মীদের সঙ্গে করমর্দনের বিষয়টি চোখে পড়ে মাঠে উপস্থিত সবার। মাঠে উপস্থিত বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, আর যা-ই হোক সরোয়ার ভাই দলের যুগ্মমহাসচিব। বরিশাল বিএনপিতে তাঁর সমকক্ষ নেতা নেই। জুনিয়রদের (বর্তমান কমিটির নেতাদের) উচিত ছিল তাঁকে যথাযথ সম্মান দেওয়া।

 তাঁরা তা না করে আলাদা বলয়ে খোশগল্প করেছেন। এটা দলে বিভাজনের স্পষ্ট লক্ষণ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর