প্রচন্ড দাবদাহে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলেও হাঁসফাঁস চলছে। রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো একটু শীতল পরশের জন্য ছটফট করছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রাণিকুলের শরীর ঠিক রাখতে পানি দিয়ে গোসল করাচ্ছেন। জীবাণুনাশক দিয়ে প্রাণীর খাঁচা পরিষ্কার করছেন। বিশেষ করে সঙ্গীহীন প্রাণীগুলোর চোখের চাউনি করুণ। তাদের দিকে তাকালে দর্শনার্থীদের কষ্ট হয়। গতকাল চিড়িয়াখানায় এ দৃশ্য দেখা গেছে। জানা গেছে, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুরে জুলাইয়ে সাধারণ বৃষ্টিপাত হয় ৪৫৩ মিলিমিটার। অথচ এ মাসের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টি হয়েছে ২ জুলাই মাত্র ১৭ মিলিমিটার। অর্থাৎ আষাঢ়ের শেষ ১৫ দিনে কোনো বৃষ্টির দেখা পায়নি এ অঞ্চলের মানুষ। জুনে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৮৪ মিলিমিটার। এ বৃষ্টি হয়েছে জুনের প্রথম দিকে। সব মিলিয়ে দেখা গেছে আষাঢ়ে বৃষ্টির হার প্রায় শূন্যের কোঠায়। আবহাওয়াবিদদের মতে, আষাঢ়ে এমন আবহাওয়া গত তিন দশকেও দেখা যায়নি। আষাঢ়ে আগে একটানা কয়েকদিন বৃষ্টি হতো। বৃহস্পতিবার রংপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও তাপমাত্রা ছিল প্রায় অপরিবর্তিত। ফলে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিজগতেও অস্বস্তি নেমে এসেছে। এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী দু-তিন দিনের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।