সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বগুড়ায় দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন, বাড়ছে রোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন, বাড়ছে রোগ

প্রচন্ড গরমে একটু ঠান্ডার আশায় গলা ভিজাচ্ছেন পথচারী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ায় তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাড়ছে গরমজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রচন্ড গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে বগুড়ার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বগুড়ার সব উপজেলার পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসও কোনো কাজে আসছে না। এ গরম থেকে প্রশান্তি পেতে মানুষজনকে গাছপালার নিচে অবস্থান করতে দেখা গেছে।                                                                                                  

আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলগেট চত্বরে ভ্যানচালক নয়ন আলী জানান, জীবিকার তাগিদে তীব্র গরমের মধ্যে গাড়ি নিয়ে তিনি বের হয়েছেন। বের হলেও দুপুরে তেমন একটা যাত্রী তিনি পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, পিচঢালা সড়কে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করাও তার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এদিকে তীব্র তাবদাহের কারণে পানিশূন্যতাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় হাসপাতাল ও প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে শিশুসহ প্রতিটি উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ভাইরাসজনিত রোগে মানুষজন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যদিকে গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ফলমূলের দামও বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ডাবের। প্রতিটি ডাব কয়েক দিন আগে যেখানে বিক্রি হতো ৬০-৮০ টাকায় সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়।

ডাব ক্রেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে অন্য ফলের চেয়ে ডাবের প্রতি চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে ডাবের দাম বেড়ে দিয়েপ্রণ বিক্রেতারা।

জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলায় সর্দি-কাশি ও জ্বরসহ বিভিন্ন গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৩০-৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সকালে জ্বর নিয়ে পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাইভেট ক্লিনিকসহ অন্যান্য চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বহু মানুষ। আদমদীঘির পৌর এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তিনি জানান, জ্বরে তিনিসহ তার পরিবারের তিনজন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলে রাব্বী জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া, সর্দি- কাশি ও জ্বরে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বর্তমানে ডায়রিয়া রোগী কিছুটা কম হলেও বেশির ভাগই জ্বরের রোগী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর