শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে আটক ৩০০ কেজি ইলিশ নিয়ে লুকোচুরি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সুন্দরবনের নীলকমল অভয়ারণ্যে আটক ৩০০ কেজি ইলিশ মাছ নিয়ে লুকোচুরি করছে পশ্চিম বন বিভাগ। একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা শুরুতে ইলিশ আটকের কথা অস্বীকার করলেও বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাকে ‘পচা ইলিশ’ হিসেবে বিনষ্ট করার কথা বলা হচ্ছে। তবে আটক মাছ বিনষ্ট না করে ট্রলারে করে খুলনায় এনে কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ১৫ জুলাই পশ্চিম সুন্দরবনের বালিরগাং এলাকায় ৩০০ কেজি ইলিশসহ ফিশিং ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার আটক করে বন বিভাগ। আটক ইলিশ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে অভিযানের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। ১৬ জুলাই সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে ডিএফও ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘কোনো ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়নি। এ ধরনের কোনো অভিযানও হয়নি।’

একই দিন সহকারী বন সংরক্ষক হাছানুর রহমান বলেন, ‘আমি দুই দিন ধরে নীলকমলে অবস্থান করছি। মাছ আটকের কোনো খবর জানি না।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হলে ১৭ জুলাই বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়- ‘১৫ জুলাই বেলা ১১টার দিকে নীলকমল টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে অভিযানে ৩০০ কেজি পচা ইলিশসহ ট্রলার, মাছ, জাল ও অন্যান্য মালামাল আটক করা হয়। অভিযান টের পেয়ে ট্রলারে থাকা জেলেরা গহিন সুন্দরবনে পালিয়ে যায়। পরে পচা মাছ বিনষ্ট করা হয়।’

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযানে ইলিশ জব্দের ঘটনাটি প্রশাসনিকভাবে কাউকে অবহিত করা হয়নি এবং এ মাছ বিনষ্টের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিও নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, অভিযানের সময় উপস্থিত থাকা একজন ফরেস্টার ওই মাছ খুলনায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্টার শ্যামাপ্রসাদ রায় জানান, আটক মাছগুলো পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে মাছগুলো বিনষ্ট করা হয়। আটক মাছ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে এ বিষয়ে তদন্ত দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবেশবিদরা। তাঁরা বলছেন, নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকারের সঙ্গে যদি খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর