জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স ছাড়াই ভুয়া ভিসা ও জাল বিএমইটি কার্ড সরবরাহ করে বিদেশ লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা করত চক্রটি। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে চাকরির প্রলোভন দিয়ে গত তিন বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। একের পর এক এমন অভিযোগের সত্যতাও পায় এলিট ফোর্স র্যাব। অবশেষে গত রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টন থেকে সংঘবদ্ধ মানব পাচার ও প্রতারক চক্রের হোতা আবুল কালামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল।
এ সময় তার কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্ট, ৬টি নকল বিএমইটি কার্ড, আর্থিক লেনদেনের বিভিন্ন লেজার, রেজিস্টার এবং ডায়েরি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আবুল কালামকে রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করি। এই চক্রের অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিএমইটি এবং ভুয়া ভিসা দেখিয়ে এই চক্রের সদস্যরা বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে ৫-৭ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিত। ভুক্তভোগীরা ভুয়া ভিসা ও নকল বিএমইটি কার্ড নিয়ে বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা ও বিএমইটি কার্ড নকল হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিত। গত তিন বছরে চক্রটি ৩০০ লোকের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও কালামের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, প্রতারিত হওয়ার পর ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলে আসামি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত তিন বছরে চক্রটি অবৈধভাবে অর্ধশতাধিক লোককে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু তারা বিদেশ গিয়ে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।