রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সিলেটে ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর, বাড়ছে করোনার প্রকোপও

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি, জ্বর, কাশি। এসব অসুখ করোনার অন্যতম উপসর্গ হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো সচেতনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অসুস্থতা প্রকট না হলে কেউ করোনা পরীক্ষা করাতেও যাচ্ছে না। তবে কয়েকদিন ধরে নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে বলে জানা গেছে। গেল এক মাসে করোনায় মারা গেছেন সাতজন। চিকিৎসকরা বলছেন, বছরের এ সময়ে সর্দি, জ্বরের প্রকোপ থাকে। তবে এবার যেভাবে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর হানা দিচ্ছে তাতে পরীক্ষা করালে করোনা শনাক্তের হার অনেক বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রায় এক মাস ধরে সিলেটে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রকোপ বেড়েছে। কোনো পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে পর্যায়ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সবাই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সর্দি, জ্বরে আক্রান্তরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে ফার্মেসি থেকে উপসর্গের বর্ণনা দিয়ে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। কারও অবস্থা প্রকট হলেই কেবল যাচ্ছেন চিকিৎসকের কাছে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নমুনা পরীক্ষা করার পর অনেকেরই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, সিলেটে যেভাবে সর্দি, জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে তাতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে করোনা আক্রান্তের হারও বাড়বে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খুব বেশি খারাপ না হলে কেউই নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহী হচ্ছেন না। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল এক মাসে সিলেটে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন। এর মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। আর এক মাসে নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩৮৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ২৩ জুন সিলেট বিভাগে মাত্র ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ওইদিন পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। ১ জুলাই ২৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত শনাক্ত হন ১২ জন। আর গতকাল ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭ জন।

অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত শনাক্তের হার ১১.৭২ শতাংশ। চলতি মাসে এ হার ২০-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, সিলেটে করোনা সংক্রমণ আতঙ্কিত পর্যায়ে না হলেও বাড়ছে। করোনার অন্যতম উপসর্গ জ্বর ও সর্দিতে অনেক লোক আক্রান্ত। কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক মানুষ করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম মনে হচ্ছে। তবে যাদের কিডনি, লিভার, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাদের উচিত করোনা উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা করানো। তা না হলে এমন রোগীর জীবনসংশয় থেকে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর