আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়। সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে গতকাল রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোনো সংকট নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বরং সংকট আছে বিএনপি এবং তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোনো শেষ নেই। তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝে মাঝে জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলেন। আসলে বিএনপি নেতারা কী চান, তা তারা নিজেরাও জানেন না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন আন্দোলনের মাধ্যমে নাকি সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তার এমন বক্তব্যে জনগণ হাসে। যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। তিনি আরও বলেন, সরকার নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত।বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোনো কর্মসূচিকে স্বাগত জানানো হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তবে আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে কীভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।
