রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ধ্রুপদী নাচে মাতালেন মার্জিয়া

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ধ্রুপদী নাচে মাতালেন মার্জিয়া

পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দেশ আমেরিকায় থেকেও নিজ দেশের সংস্কৃতিকে হৃদয়ের গহিনে লালন করেছেন নৃত্যশিল্পী মার্জিয়া স্মৃতি। আর লালিত সেই সংস্কৃতির ধ্রুপদী নৃত্যকে তুলে ধরলেন এ দেশের নৃত্যানুরাগী দর্শকদের সামনে। ভরতনাট্যম, কত্থক, মনিপুরি ও ওড়িশি নৃত্যের শাস্ত্রীয় ছন্দে মুগ্ধ করলেন দর্শকদের। আমেরিকা প্রবাসী নৃত্যশিল্পী মার্জিয়া স্মৃতির ধ্রুপদী নাচের মায়াজালে দুললেন নৃত্যরসিক দর্শকরা। নাচের দোলায় শিল্পী দর্শকদের দোলালেন আর মাতালেন। মুগ্ধতার চাদরে ঢেকে দিলেন পুরো মিলনায়তন। এমন দৃশ্যই দেখা গেল ‘কালারস অব রিদম’ শিরোনামের মার্জিয়া স্মৃতির একক নৃত্যানুষ্ঠানে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই নাচের আসর। নিজের একক পরিবেশনা ছাড়াও সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের শিল্পীদের নিয়ে তিনি বিভিন্ন ঘরানার বেশ কয়েকটি নাচ পরিবেশন করেন। কত্থক নাচ দিয়েই আসরের শুরু হয়। শুরুতে শিল্পী ‘বন্দনা’ ও ‘তারানা’ পরিবেশনায় মিলনায়তনে সৃষ্টি হয় শাস্ত্রীয় মায়াজাল। অনুষ্ঠানে শিল্পী আরও পরিবেশন করেন ‘আমি বীরাঙ্গনা আমি রজনীগন্ধ্যা’ শিরোনামের একক পরিবেশনা। এ ছাড়া ছিল দেশাত্মবোধক দলীয় নৃত্য বাংলার কথা। ধ্রুপদী নাচের এই আসরে বড় পর্দায় দেখানো হয় নৃত্যশিল্পী স্মৃতিকে নিয়ে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল।  এরপর রবীন্দ্রনৃত্যনাট্য মায়ার খেলার দলীয় পরিবেশনায় ‘মোরা জলে স্থলে কত চলে’ গানের সঙ্গে অডিও-ভিজ্যুয়ালে দেখানো হয় মায়ার খেলার কিছুটা অংশ। পরে দর্শক আবারও সরাসরি উপভোগ করেন মায়ার খেলার ‘সখি সে গেল কোথায়, দে লো সখি দে, মন দিতে এসেছি, বলো সখি বলো’ গানগুলোর নৃত্যাংশ।  এই পরিবেশনা শেষে রবীন্দ্রনৃত্যনাট্য চণ্ডালিকার দলীয় পরিবেশনায় ছিল ‘নব বসন্ত, যে আমারে, কি যে ভাবিস তুই, জল দাওসহ কয়েকটি গানের অংশ। রবীন্দ্রনৃত্যনাট্যের শেষ পরিবেশনায় বড় পর্দায় দেখানো হয় ‘চিত্রাঙ্গদা’।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে নাট্যজন আতাউর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, শামীম আরা নীপা ও আনিসুল ইসলাম হিরো, বাফার সহপ্রতিষ্ঠাতা ফরিদা ইয়াসমিন, নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের সাধারণ সম্পাদক ড. চঞ্চল সৈকত প্রমুখ। বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস বাফার সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, পরিচালনা এবং কোরিওগ্রাফি করেছেন শিল্পী নিজেই।

সর্বশেষ খবর