রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
ট্যানারি শিল্প গড়ে তোলার দাবি

এখনো চামড়া কিনতে রংপুরে যাননি মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ঈদুল আজহার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও রংপুরে চামড়া কিনতে এখন পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা আসেননি। ফলে প্রায় ৩০ হাজার গরু ও খাসির চামড়ায় লবণ মাখিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা রংপুরে চামড়া কিনতে না আসায় তাদের অনেকেই গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, নাটোরসহ বিভিন্ন হাটে গিয়ে চামড়া বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ লবণ মাখিয়ে বসে রয়েছেন। এদিকে প্রতি বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে আড়তে দিলেও এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দেখা যায়নি। ফলে আড়তগুলোতে চামড়ার আমদানি কম হয়েছে।

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ট্যানারি মালিক চামড়া কিনতে রংপুর আসেনি। জেলা সদরে হাতে গোনা কজন ব্যবসায়ী ১৫ থেকে ২০ হাজার চামড়া কিনে লবণ মেখে স্তূপ করে রেখে দিয়েছেন। উপজেলা পর্যায়েও খুব সামান্য চামড়া কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় ৩০ হাজার পিসের মতো চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনতে না এলে চামড়া সংরক্ষণে যে পরিমাণ লবণ ও অন্যান্য ব্যয় হয়েছে সেই দামও উঠবে না। ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে রংপুরে চামড়ার ব্যবসায় ধস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, ট্যানারি মালিকরা রংপুরে না আসায় অনেকে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি হাটে গিয়ে চামড়া বিক্রি করছেন। ওইসব হাটে ট্যানারি মালিকদের লোক রয়েছে তারা কম দামে চামড়া কেনেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক কম দামে চামড়া বিক্রিতে বাধ্য হয়েছেন রংপুরের ব্যবসায়ীরা। তাই তারা রংপুরে ট্যানারি শিল্প গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।

 এ বছর প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়।

চামড়া কম আমদানি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার চামড়ার দাম কম হওয়ায় অনেকেই এতিমখানায় অথবা মাদরাসায় চামড়া দান করেছেন। ওই সব চামড়া লবণ মেখে রেখে দেওয়া হয়েছে। দাম বাড়লে ওইসব চামড়া বাজারে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

রংপুর চামড়া ব্যবসায়ীর সভাপতি আবদুল লতিফ খান বলেন, চামড়া ব্যবসার ধস ঠেকাতে হলে রংপুরে ট্যানারি শিল্প গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে প্রতি বছরই চামড়া ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে।

সর্বশেষ খবর