আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি ইতোমধ্যেই পড়ে গেছে। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া বাকি’ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার অনেক শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। আপনারা জানেন, কোনো শক্ত দেয়ালে যদি কেউ ধাক্কা দেয় সে নিজেই পড়ে যায়, দেয়াল কিন্তু নড়েও না কিংবা সেই দেয়ালে যদি কেউ মাথা ঠোকে তাহলে মাথা ফেটে যায়। আসলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি ইতোমধ্যেই পড়ে গেছে। আবার যদি ধাক্কা দিতে যায় তখন আবার পড়ে যাবে, মাথাও ফেটে যেতে পারে। ‘বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী সরকারের দুর্নীতি’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পৃথিবীতে আজকে বিদ্যুতের জন্য, জ্বালানির জন্য হাহাকার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ যায়নি, সেখানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আমেরিকায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নাগরিকদের কাছে এসএমএস করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস এবং সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়েছে। স্পেনে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন টাই না পরার জন্য, কারণ টাই পরলে গরম লাগবে, গরম লাগলে এসি বেশি চালাতে হয়। নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা নিষ্পত্তির জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাব, মালিক পক্ষকে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করার জন্য বলতে। নোয়াবের দৈনিক পত্রিকার মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নোয়াব বলেছে তাদের অনেক দাবি ছিল যার বেশ কিছু বাস্তবায়িত হয়নি। সব দাবির বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না, সরকারকে সবকিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর সংবাদপত্রগুলো বেসরকারি মালিকানাধীন, তারা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে আলোচনা করে বাড়ালে ভালো হতো।’ ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে সিনিয়র সহসভাপতি এম এ কুদ্দুস, সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এম সাইফ আলী, দফতর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া অনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ডিইউজের ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি পত্র মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
