বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম ছাত্রলীগে সহসভাপতির ঢল

সম্মেলনের সাড়ে চার বছর পর গভীর রাতে কমিটি ঘোষণা, পদবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ছাত্রলীগে সহসভাপতির ঢল

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্মেলনের সাড়ে ৪ বছর পর গত রবিবার গভীর রাতে ঘোষিত এই কমিটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ও বিতর্কিতরা স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কমিটি ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

অনেকেই এই কমিটিকে ‘টাউস কমিটি’ বলে অভিহিত করেছেন। পদ-বঞ্চিতদের মধ্যে চলছে ক্ষোভ-চাপা ক্ষোভও।

কমিটিতে সহ-সভাপতির ঢল নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতা। ৩১৬ সদস্যের এই কমিটিতে শুধু সহ-সভাপতিই করা হয়েছে ৮৩ জনকে। এতো সহ-সভাপতি দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে খোদ কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতারাই প্রশ্ন তুলেছেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে এমন কমিটি দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সাবেক নেতারা।

কমিটির সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের প্রথম প্রহরের কয়েক মিনিট আগে ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা এই কমিটিতে ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও সম্পাদকমন্ডলীর অন্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৮৬ জনকে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষর করা এই কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ২৩ জনকে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। ৩৭৫ সদস্যের এই কমিটিতেও শুধু সহ-সভাপতি রয়েছেন ১১৮ জন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের একজন সহ-সভাপতি পদপ্রাপ্ত নেতা বলেন, টাকার বিনিময়ে এ কমিটিতে বাইরের অনেকেই পদ পেয়েছেন। যারা কোনো দিনই রাজনীতি করেনি এমন অনেকেই বড় পদে          স্থান পেয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। একই বছরের ৫ মে সভাপতি তানবির হোসেন তপু ও রেজাউল করিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে টাকা পয়সার লেনদেন ও বিতর্কিতদের কমিটিতে জায়গা দেওয়ার অভিযোগে দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন আটকে দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর