বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

দুই কিশোরসহ অপহৃত চারজন উদ্ধার, আটক ১

কক্সবাজার প্রতিনিধি

টেকনাফের গহিন পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও কিছু দুষ্কৃতকারী মিলে গড়ে তুলেছে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র। ওই চক্রটি লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নির্যাতনের পর হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তপণ দাবি করে। ওই চক্রের হাতে অপহরণের শিকার দুই কিশোরসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম। আটক করা হয়েছে অপহরণকারী চক্রের সদস্য ফরিদ আহমদকে। উদ্ধারকৃতরা হলেন- আমিনুর রহমান (১৪), মো. নুর (১৩), মো. ইলিয়াস (৩৮) ও  সৈয়দ আহাম্মদ (৬৫)। তারা টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা। জানা গেছে, টেকনাফের শামলাপুর ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার ও রবিবার স্থানীয় চার বাসিন্দাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়ে। সেখানে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।

পরে পরিবারের কাছে ফোন করে অপহৃতদের আর্তনাদ শুনিয়ে চাওয়া হয় মুক্তিপণ। বিষয়টি জানাজানি হলে অপহৃতদের খোঁজে সোমবার রাতে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এ সময় উদ্ধার করা চারজনের শরীরে রয়েছে নির্যাতনের চিহ্ন। উদ্ধার হওয়া আমিনুর রহমান, মো. নুর, মো. ইলিয়াস ও সৈয়দ আহাম্মদ জানান, পাহাড়ে তাদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়। হাত-পা বেঁধে রাখা হতো। অপহরণকারী ১১ জন ছিল। মারধর সইতে না পেরে আর্তনাদ করলে সেগুলো ফোন করে শোনানো হতো পরিবারের সদস্যদের। সোমবার রাতে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আরেফিন সিদ্দিকী জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের ‘আল ইয়াকিন’ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ওই চক্রে আছে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও কিছু দুষ্কৃতকারী। অভিযানে ওই চক্রের একজন র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। অপহরণ চক্রের মূল হোতাকে শনাক্ত করা হলেও তার অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর