বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের কাছে অসহায় হল প্রশাসন

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের সম্মতি ছাড়া সিট মেলে না। শিক্ষার্থীদের থেকে আবেদন নিয়ে হল প্রশাসন আবাসিকতা দিলেও অবৈধভাবে সিট দখল করে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে আবাসিকতাপ্রাপ্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিটে তুলে দিতে পারছে না প্রশাসন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিটের জন্য হল প্রশাসনের কাছে গেলে অসহায়ত্বের কথা জানান প্রভোস্ট। অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ পেয়ে প্রতি মাসে টাকা গুনলেও সিট পাচ্ছেন না, উল্টো মেস ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে হলে সিট বরাদ্দের কথা থাকলেও অরাজনৈতিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের হলে জায়গা হচ্ছে না। জানা যায়, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি লালন শাহ হলে সিট বরাদ্দ পান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। হল প্রশাসনের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও হলে উঠতে পারেননি। অথচ প্রতি বছর আবাসিকতা ফি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কৃষক বাবার পাঠানো টাকায় তিনি ক্যাম্পাস পাশর্^বর্তী একটি মেসে থাকছেন। তার সিটে ছাত্রলীগের এক কর্মী থাকেন বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আবাসিক হল আছে ৮টি। এর মধ্যে ছাত্রদের ৫টি, ছাত্রীদের ৩টি।

এসব আবাসিক হলে ৩ হাজার ৫৯৪ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা আছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আবাসিকতাপ্রাপ্ত আরিফুর রহমান নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলে সিট বরাদ্দ পেয়ে চার বছরে হলে উঠতে পারিনি। আমার বরাদ্দকৃত সিটে আগে থেকেই একজন থাকত। প্রভোস্টকে বললেও কোনো কাজ হয়নি। নিয়মিত হলের ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি।’

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, ‘হলে কোনোভাবেই অবৈধ কারও থাকার সুযোগ নেই। নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় যোগ্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। হলের পরিবেশ নষ্ট করবে- এমন কাউকে সিট দেওয়া হবে না। অছাত্র ও বহিরাগতদের হল থেকে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেও বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে তুলতে পারছি না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর