শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিএসসিসির ৬ হাজার ৭৪১ কোটি টাকার বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। গতকাল ডিএসসিসি নগর ভবনে এ বাজেট ঘোষণা করেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এটি তার তৃতীয় বাজেট ঘোষণা। এর আগে গত ২৬ জুলাই নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের পঞ্চদশ করপোরেশন সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আয় অংশের প্রারম্ভিক স্থিতি ধরা হয়েছে     ৫৯৩.৬৯ কোটি, রাজস্ব আয় ১২০৮.৭০ কোটি, অন্যান্য আয় ৫৭.৮০ কোটি, সরকারি থোক ও বিশেষ বরাদ্দ ৬৫ কোটি এবং মোট সরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে আয় ধরা হয়েছে ৪৮১৬.০৯ কোটি টাকা।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত করপোরেশন সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল ৬ হাজার ৭৩১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করল সংস্থাটি।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র তাপস বলেন, শত প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘উন্নত ঢাকা গড়ার ভিত’ রচনা মজবুত করতে সক্ষম হয়েছি। ডিএসসিসি ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ৭০৩.৩১ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে।

তিনি বলেন, বিগত অর্থবছরে আমরা রাজস্ব আদায়ে পূর্বেকার সেই মাইলফলক অতিক্রম করে নতুন ইতিহাস গড়তে সমর্থ হয়েছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমরা করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮৭৯.৬৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছি।

শেখ তাপস বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে এই অসাধ্য সাধন সম্ভবপর হয়েছে। প্রথমত, ঢাকাবাসী শুধু আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেননি, আমাদের ওপর পরিপূর্ণ আস্থাও রেখেছেন। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি অব্যাহত রয়েছে বিধায় দুর্নীতি কমেছে, ফলে আয় বেড়েছে। তৃতীয়ত, সামষ্টিকভাবে উল্লেখযোগ্য হারে হয়রানি কমেছে এবং সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ঢাকাবাসীর আস্থা বেড়েছে এবং কর পরিশোধ করার আগ্রহও বেড়েছে।  চতুর্থত, ব্যয়ের ক্ষেত্রে  পূর্বেকার যে কোনো সময়ের চেয়ে জবাবদিহিতা বেড়েছে এবং অপচয় রোধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচনকালীন কোনো কর বৃদ্ধি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা করেছি। আমরা কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং আয়ের খাত বৃদ্ধি, কর ফাঁকি রোধ এবং বকেয়া কর আদায়ের মাধ্যমে আমরা রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। যথাযথ তদারকি এবং নতুন ২৩টি আর্থিক খাত হতে অর্থ আদায়ের ফলে রাজস্ব আদায়ে আমরা সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি।

সর্বশেষ খবর