ভরা মৌসুমেও কাক্সিক্ষত পরিমাণ ইলিশ মিলছে না বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে। টানা ৬৫ দিন পর মাছ শিকারের আশায় গভীর সমুদ্রে গিয়েও তেমন ইলিশ না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন জেলেরা।
তবে মৎস্য অধিদফতরের দায়িত্বশীলরা বলছেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় সাগরে মাছ কিছুটা কম ধরা পড়ছে।
সীতাকুন্ডের জেলে জলদাশ বলেন, ২৩ জুলাই রাতে সাগরে যাই ইলিশ শিকারের আশায়। কিন্তু গভীর সাগরে জাল ফেলেও চরম হতাশ হতে হয়েছে। সাধারণত প্রতি নৌকায় ৫-৭ জন জেলে একসঙ্গে মাছ শিকারে যাই। আগে প্রতিজালে ৫০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকার ইলিশ পেতাম। কিন্তু এবার গভীর সমুদ্রে গিয়েও ২-৪ হাজার টাকার মাছ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। তাও বেশিরভাগ ছোট সাইজের।আরেকজন জেলে বলেন, ইলিশ শিকার শুরু হওয়ার পর একটি অমাবস্যার জোঁ গেছে। অতীতে এসব জোঁতে প্রচুর ইলিশ পেয়েছি। কিন্তু এবার জোঁতে জাল ফাঁকা। এক নৌকায় ৬ জন গিয়েছিলাম, জনপ্রতি ২-৩শ’ টাকাও পাইনি। উপজেলা মৎস্য অফিসার কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গভীর সাগর থেকে চ্যানেলগুলোর দিকে ইলিশ কম আসছে। তাই কম ধরা পড়ছে। কিন্তু যারা গভীর সমুদ্রে জাল ফেলছে তাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।
এর আগে ইলিশের মৌসুম ছিল জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু সরকার মে থেকে জুলাই মাসের ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছেন।স্থানীয় ও মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের শুধু সীতাকু উপজেলায় ৩৮টি জেলে পল্লী আছে। এসব পল্লীতে বসবাসকারী অর্ধলক্ষাধিক জেলের জীবন চলে সাগরে মাছ শিকার করে। সারা বছর বিভিন্ন প্রকার মাছ শিকার করলেও তাদের মূল লক্ষ্য থাকে বর্ষায় ইলিশ শিকার। এর উপরই তাদের পুরো বছর সংসার খরচ চলে।
জেলেদের আশা ভারী বৃষ্টি হলেই কাক্সিক্ষত পরিমাণ মাছ পাওয়া যাবে।