সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

নয় বছরেও বাড়েনি শয্যা

চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগটি ২০১৩ সালে ১১টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরই মধ্যে প্রায় নয় বছর পার হতে চলল। বৃদ্ধি পেয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা। কিন্তু হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের শয্যা সেই নয়টিতেই রয়ে গেল। দীর্ঘ নয় বছর পরও কোনো শয্যা বাড়েনি। অথচ প্রতিনিয়তই শিশু কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জানা যায়, ২০১০ সালে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকারি পর্যায়ে শিশু কিডনি বিভাগের যাত্রা করে। তখন ৪৩টি পদ সৃষ্টি করে। এর মধ্যে অধ্যাপক পদ পাঁচটি, সহযোগী অধ্যাপক পদ ১০টি, সহকারী অধ্যাপক পদ ১৫টি ও রেজিস্ট্রার পদ ১৩টি। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর ১১টি শয্যা নিয়ে চমেক হাসপাতালে শিশু কিডনি বিভাগ যাত্রা করে। বর্তমানে এ বিভাগে তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, দুুজন  সহকারী অধ্যাপক ও একজন সহকারী রেজিস্ট্রার কর্মরত আছেন। প্রতিদিন অন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকে ১১ জন এবং বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয় গড়ে ১৫ জন  করে। 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্র্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, কেবল শিশু কিডনি ওয়ার্ড নয়, প্রায় সব ওয়ার্ডেই শয্যা সংকট আছে। শয্যার তিনগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শিশু রক্ত রোগ বিভাগটি পৃথক করা হয়েছে। চেষ্টা করছি সেখানে শিশু কিডনি বিভাগের জন্য কিছু শয্যা বাড়ানো যায় কি না। বিষয়টা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। কিডনি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়তই কিডনি বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০২১ সালে অন্তঃবিভাগে মোট রোগী ভর্তি হয় ৩০৩ জন এবং বহির্বিভাগে  চিকিৎসা নেয় ১ হাজার ১৩১ জন। ২০২০ সালে অন্তঃবিভাগে মোট রোগী ভর্তি হয় ১৮৫ জন। শিশু কিডনি বিভাগে শয্যা সংকট থাকায় প্রতিদিন শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাছাড়া শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দৈনিক গড়ে তিন থেকে পাঁচজন রোগীকে কিডনি ওয়ার্ডে রেফার করা হয়। এতে সংকটে পড়তে হয় রোগীদের, ভোগান্তি-দুর্ভোগ পোহাতে হয় অসহায়-গরিব ও খেটে খাওয়া রোগীদের। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশুদের একটি অংশ কিডনির জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যা সময়মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলে ভালো হয়।

 বর্তমানে চমেক হাসপাতালে কিডনি বায়োসপি, ডায়ালাইসিস, অন্তঃ ও বহির্বিভাগে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হয়। শিশু কিডনি রোগীর উন্নত চিকিৎসায় সিএপিডি সেবা, হিমোডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় স্থান সংরক্ষণ, শিশু কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজনীয় এসব উদ্যোগ নিলে শিশু কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ কমবে। সবাই পাবে আধুনিক-উন্নত চিকিৎসা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর