জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ। তাঁর জন্ম ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের সময় শহীদ হন তিনি। তিনি তিন বছর বয়সে বাবা শেখ জহুরুল হক ও পাঁচ বছর বয়সে মা হোসনে আরা বেগকে হারান। তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। পরে গ্রামে গৃহশিক্ষকের কাছে বিদ্যাশিক্ষা লাভ করেন। টুঙ্গিপাড়ার সন্তান শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধু বাঙালি জাতির পিতাই নন, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী মহীয়সী এ নারী। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গমাতার কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে অনলাইনে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। বাদ আসর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হবে।