শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

সোয়া লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোয়া লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণ

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সোয়া লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা থাকলেও জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকায় উঠে গেছে। দেখা যাচ্ছে তিন মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। এর আগে গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, কেবল টাকার অঙ্কে নয়, শতকরা হিসাবেও খেলাপি ঋণ বেড়েছে। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮ দমমিক ৫৩ শতাংশ থাকলেও জুন শেষে তা বেড়ে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশে উঠে গেছে।

২০২২ সালের জুন শেষে দেশে বিতরণ করা ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকায়। মার্চ শেষে ব্যাংকিং খাতের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রগুলো জানায়, করোনা মহামারিতে ব্যাংকগ্রাহকদের সবিধার্থে কিস্তি পরিশোধের নীতি শিথিল করা হয়েছিল। সে সময় নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করলেও ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ঋণ শ্রেণিকরণ করেনি। তারই ধারাবাহিকতায় এখনো কিছু গ্রাহক ঋণ    পরিশোধ করছেন না। এর ফলে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি বড় ধরনের ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণসংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই নীতিমালায় আড়াই থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ রয়েছে। আগে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে হতো। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ পাঁচ থেকে আট বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। আগে এসব ঋণ শোধ করতে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় দেওয়া হতো। এ ছাড়া নতুন নীতিমালায় খেলাপি ঋণের সুবিধা প্রদান ও পুনঃতফসিলের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে আরও মনযোগী হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর