খুলনায় রপ্তানিকৃত চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। সড়কপথে তল্লাশি, বিভিন্ন কারখানা ও ডিপোতে অভিযান চালিয়ে অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি আটক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে রূপসা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড এলাকায় ‘প্রিয় ফিশ ডিপো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় সাতজনকে এক মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ৭০ কেজি অপদ্রব্য পুশ চিংড়ি জব্দ করা হয়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাসনিম ও উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাপী কুমার দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ডিপোর বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভিতরে বসে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার সময় র্যাবের একটি টিম ওই সাত জনকে গ্রেফতার করে।দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, ফকিরহাটের আনন্দ গাইন (৪৮), সাতক্ষীরার আলী মুনসুর (৫৫), রূপসার মো. সেলিম (৫৫), রফিকুল ইজারদার (৩২), ইমন মোল্লা (২২), বাবুল শেখ (৪৬) ও সদর থানার টিপু সিকদার (৫৬)।
এর আগে ১ আগস্ট পূর্ব রূপসা ভাই ভাই মৎস্য আড়ত ও সাথী ফিশে জেলিমিশ্রিত ৮০ কেজি চিংড়ি জব্দ করে র্যাব সদস্যরা। এ ঘটনায় ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এস হুমায়ুন কবির জানান, এ ধরনের অপতৎপরতায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়। একটি গোষ্ঠী কম সময়ে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করছে। গত এক মাসে পরপর কয়েকটি বড় অভিযানে পুশকৃত চিংড়ি জব্দ ও জরিমানা করা হয়েছে।
র?্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আবুল কালাম আজাদ জানান, চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।