শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ি ঝরনায় পর্যটকের ঢল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ি ঝরনায় পর্যটকের ঢল

পাহাড়ি ঝরনাগুলোতে এখন পর্যটকের ঢল নেমেছে। প্রতিদিন আসছেন হাজার হাজার তরুণ-তরুণী। দূর-দূরন্ত থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে নামছে পর্যটকের ঢল। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন কাপ্তাই হ্রদ বোট মালিক ও শ্রমিকরা। এতে চাঙা হয়ে উঠেছে ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসা।

গতকালও রাঙামাটিতে ভিড় ছিল বিপুলসংখ্যক পর্যটকের। ভিড় সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়নের গিরিনির্ঝর ঝরনায়। একইভাবে ভিড় ছিল ঘাগড়া ঝরনায়ও। সবমিলিয়ে যৌবন ফিরে পেয়েছে পাহাড়ি ঝরনা।

শুভলং ঝরনায় বেড়াতে আসা আরিয়ন ও ইমরান জানান, হ্রদ-পাহাড়ের শখ্যতায় হৃদয় নিংড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করছি। পাহাড়ের বুক চিরে আছড়ে পড়া জলধারা দেখে আমরা বিস্মিত। এমন বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য শুধু রাঙামাটিতেই মেলে। তাই তো প্রতি বছর বর্ষায়ই ঝরনা দেখতে রাঙামাটিতে ছুটে আসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়ি ঝিরি-ঝরনা রয়েছে। তারমধ্যে শুধু বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়নে রয়েছে ছোট-বড় ১০০টি ঝরনা। শুভলংয়ের গিরিনির্ঝর ঝরনাটি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এখানে প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসে ঝরনার জলধারা। ঝরনার অবিরাম পতনে সৃষ্ট নিক্বণ বিমোহিত করে পর্যটকদের। দূর-দূরান্ত থেকে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি অবসানে হারিয়ে যান ঝরনার জলধারায়। তাই গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত কিংবা বসন্তে এই ঝরনাগুলোতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। 

শুভলং ঝরনার টিকিট বিক্রেতা রিন্টু চাকমা জানান, ঝরনা সবার কাছে প্রিয়। তাই রাঙামাটি বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে।

 শুষ্ক মৌসুমে বড় ঝরনায় পানি একটু কম থাকলেও কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করা হয়। তবে ছোট ঝরনায় পানি থাকে বারো মাসই।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌযান ঘাটের ব্যবস্থাপক রমজান আলী জানান, বর্তমানে ঝরনা স্পটে পর্যটকদের ভ্রমণ বেড়েছে। তাই নৌযান ঘাটের বোট চালকদের ব্যস্ততার পাশাপাশি  আয়ও বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর