সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

সব প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে এখন যারা প্রধানমন্ত্রী আছেন, সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। উনার ওপর একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-কেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, তারা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য যাবতীয় চেষ্টাই করেছেন। আমার বিশ্বাস, আল্লাহ উনার হায়াৎ রেখেছেন, তাই তিনি আমাদের মধ্যে আছেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার হামলা হয়েছে, সে জন্য তার নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকেই যায়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান নিরাপত্তার পাশাপাশি অদৃশ্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে আগস্ট মাসে পুলিশ সতর্ক থাকে। কারণ, এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সারা দেশে ৫০০ স্থানে বোমা হামলা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ আগস্টের কষ্ট এবং শোকের সঙ্গে পালন করতে হাজার হাজার মানুষ ৩২ নম্বরে আসেন। সে অনুযায়ী এখানে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ এবং প্রণয়ন করা হয়েছে। ভেন্যুগুলো ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টরের মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। ধানমন্ডি লেকে নৌপুলিশ ও নৌবাহিনীর পেট্রল টিম থাকবে। দৃশ্যমান প্রতিটি জায়গায় নিরাপত্তা বলয় থাকবে। দেশি-বিদেশি প্রেক্ষাপটসহ সব ধরনের ঝুঁকি মাথায় রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে আশপাশের প্রতিটি আবাসিক হোটেল ও মেসে নিরাপত্তা তল্লাশি চালনো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানীতে যাবেন, তাই সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ও সোয়াত টিম সবসময় প্রস্তুত থাকে। ধানমন্ডিতে স্থাপিত কন্ট্রোলরুম থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। যাতে সার্বক্ষণিক আমরা দেখতে পারি এবং যখন যেখানে প্রয়োজন ব্যবস্থা নিতে পারি। এর বাইরে রোড লাইনিং, রুফটপে পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। সিটিটিসিও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

ডিএমপি প্রধান বলেন, মানুষ যাতে ৩২ নম্বরে প্রবেশের আগে যথাযথ নিরাপত্তা তল্লাশির আওতায় আসে, সে জন্য আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। অনুরোধ করব ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক নিয়ে যেন কেউ না আসেন। রাসেল স্কয়ারের দিক দিয়ে জনসাধারণ প্রবেশ করবেন এবং পশ্চিম দিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন। চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের বেরিকেড থাকবে। নির্ধারিত রুটম্যাপ অনুসরণ করে এলে সবাই কম সময় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যেতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর