বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর ঘরের পাহারায় যারা ছিল তারাই বেইমানি করেছে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর ঘরের পাহারায় যারা ছিল তারাই বেইমানি করেছে : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘরের পাহারায় ছিল তারাই বেইমানি করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যদি কোনো আন্দোলন হতো, বিরোধী দল থাকত, তা হলেও মানা যেত। কিন্তু তা হয়নি। ফলে একে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বলা যাবে না। এটা ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকান্ড। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাঙালির শোকের শ্রাবণ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তারা বুঝতে পেরেছিল ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে হলে তাঁর পরিবারের এক ফোঁটা রক্ত থাকতেও তা সম্ভব নয়। এ থেকেই বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা। বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি।

 বঙ্গবন্ধু নিজেকে সাধারণ মানুষ ভাবতেন। কিন্তু তিনি মোটেও সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি বিশ্বনেতৃত্বে স্থান করে নিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান তো শুরুই করেছিল শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে। তিনি ছিলেন রাজাকার নম্বর ওয়ান। এ ছাড়া তার মন্ত্রিসভার অনেকেই আইয়ুব খানের মন্ত্রী ছিলেন। এ গোষ্ঠীর ধারাটা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই জিয়াউর রহমান দেশ শাসন শুরু করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশন অচিরেই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। ২০১৯ সালে যখন প্ল্যান করলাম, তখন করোনার আক্রমণ শুরু হলো। এটার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ ক্ষেত্রে তাঁর আদেশ শিরোধার্য। তিনি হয়তো পরিমার্জন করবেন, সেজন্য এর আগে আমি এটি জনসম্মুখে আনতে চাই না।

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক চেয়ারম্যানের কাছে কিছু মানবাধিকার কর্মী বলেছেন বাংলাদেশ নাকি পুলিশ স্টেট। অথচ এরা টকশোয় যান, অসভ্য ভাষা পর্যন্ত ব্যবহার করেন। আমরা বাধা দিই না। এটাই বাকস্বাধীনতা। এটাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।

সর্বশেষ খবর