শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বেড়েছে ডায়রিয়া

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বেড়েছে ডায়রিয়া

চট্টগ্রামে হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত চার দিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে। তবে নগরের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকার রোগী বেশি হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগকে ভাবিয়ে তুলেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসার্স ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একই এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। ডায়ারিয়া প্রকোপের বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শনে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। আজ শুক্রবার আইইডিসিআরের আরেকটি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট এলাকা ও বিআইটিআইডি সরেজমিন পরিদর্শন করার কথা।

জানা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত  বিআইটিআইডিতে নতুন রোগী ভর্তি হন ৬৯ জন, বুধবার ভর্তি হন ৫৫ জন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হন ৪৭ জন এবং ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভর্তি হন ১৯ জন। এর বাইরেও অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত হওয়া রোগীরা চট্টগ্রাম নগরের ফ্রি পোর্ট, ইপিজেড, পতেঙ্গা, হালিশহর, সল্টগোলা ক্রসিং, উত্তর আগ্রাবাদসহ আশপাশের এলাকার। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুও আছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিআইটিআইডির সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ৪৭ জন নতুন আক্রান্ত ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভর্তি হয় ১৯ জন। বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।

 তবে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে অনেকে বাড়িও ফিরছেন। তিনি বলেন, ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম আসে এবং আজও আইইডিসিআরের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে আসার কথা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এলাকাগুলো প্রায় সময় বঙ্গোপসাগারের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। প্রাথমিকভাবে দূষিত পানির কারণে এমনটি হচ্ছে কি না তা খুঁজে বের করতে হবে। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে অবহিত করেছি। তাছাড়া, আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রিজার্ভ স্টোরে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন এবং পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি।

জানা যায়, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশেরই পাতলা পায়খানা হচ্ছে। একই সঙ্গে অনেকের আবার বমিও আছে। কারও কারও পানিশূন্যতাও দেখা দিয়েছে। তাছাড়া একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।     

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর