শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধর : কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেসবুকে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা ওই মামলায় তাকে প্রধান আসামি করা হয়। এতে আরও আট আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শিবা আক্তার যূথীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছিলেন কয়েক তরুণ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন ওই তরুণীর বাবা জসিম উদ্দিন। এতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক ও তার সহযোগীরা জসিম উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাতে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করেছেন বলে তরুণীর অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ জসিম উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত এনামুল ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মারধরের শিকার জসিম ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আলী রেজা খান, এনামুল হক পান্না, নাজমুল হোসাইন, রাশেদুল আলম, শামছুল আলম, শফিউল আজম, মঞ্জুরুল হক, শাহ আলম, এইচ এম রায়হান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়।

পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, জসিম উদ্দিনের মেয়ে বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা করেছেন। এর আগে ওই ঘটনায় জিডি করেছিলেন তিনি।

বাদী শিবা আক্তার যূথী বলেন, তাকে পল্টন থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কাউন্সিলরের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য লিখে পোস্ট করছিলেন। বাবা এর প্রতিবাদ করলে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শান্তিনগরের হোয়াইট হাউস হোটেলে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বেদম মারধর করা হয়। তিনি প্রাণ বাঁচাতে বাইরে এলেও তার ওপর হামলা চালানো হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শিবা আক্তার যূথী পল্টন মডেল থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বিবাদী মিরন, রানা, রাশেদ ও রায়হান তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা পোস্ট করেন। তা নিয়ে তার বাবা জসিম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শান্তিনগর এলাকার হোয়াইট হাউসের ভিতরে মিরন, রানা, রাশেদ ও রায়হানদের পেয়ে বাজে মন্তব্য না করার অনুরোধ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জসিম উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে মামলার এক নম্বর আসামি তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হকের নির্দেশে তার বাবাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এলে আসামিরা যূথীর বাবার পথরোধ করে কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তার বাবা রাস্তায় পড়ে গেলে বিবাদীরা মেরে ফেলার উদ্দেশে বুকের ওপর উঠে লাথি মারলে পাঁজরের হাড় সরে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর