বাংলাদেশের মৌলিক পণ্য হিসেবে এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি অর্জন করেছে রংপুরের ‘শতরঞ্জি’। এ অর্জন উদ্যাপনে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর শুক্রাবাদের নন্দিনী ভবনে এক আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। স্বীকৃতি অর্জনের উদ্যাপনের পাশাপাশি কারুপণ্য শতরঞ্জির নতুন প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে শতরঞ্জির ঐতিহ্য, বিবর্তনের ধারাবাহিকতাসহ পুরো ইতিহাস দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য হস্তশিল্পের সম্ভাবনার জায়গাটি তুলে ধরতে পাট, বাঁশ, কচুরিপানা, কাশিয়া, লোহালক্কড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া কাঁচামাল দিয়ে তৈরি পণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ও তরুণ চিত্রশিল্পী তরুণ ঘোষ। উদ্যোক্তা সফিকুল আলম সেলিম বলেন, ‘রংপুরের ঐতিহ্য শতরঞ্জি কারুপণ্যের একটি টিম ওয়ার্ড। সমন্বিত চিন্তার ফসল।
কয়েকজন মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল আজকের জিআই। রংপুরে দেড় শতাধিক শতরঞ্জির কারখানা রয়েছে।’ প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে প্রদর্শনীর উদ্বোধনের পর রংপুর অঞ্চলের ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
১৯৯১ সাল থেকে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের হাত ধরে বিশ্ববাজারে শতরঞ্জির যে প্রবেশ এবং উত্থান, সে ধারাবাহিকতায় এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী রংপুরের শতরঞ্জি। উল্লেখ্য, শতরঞ্জিকে ২০২০ সালে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন।