থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের বর্তমান অবস্থার রিপোর্ট তৈরি করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। ছয় মাসের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা মালামাল যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। থানা বা আদালতে জব্দ মালামালের যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে ২৮ আগস্ট হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি জানান, মালখানা ব্যবস্থাপনায় সরকারের অবহেলাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এমন নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছিলাম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধান এবং ডিএমপি কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস। রিটের পক্ষে আইনজীবী জানান, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত এবং থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছর বছর পড়ে থাকে। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিস পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে রিট দায়ের করেছি।
