শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিতর্ক না থাকলে ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গঠন সহজ হয় না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিতর্ক না থাকলে ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গঠন সহজ হয় না : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের রাষ্ট্রকে একটি ন্যায় এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করতে চান। ন্যায়, জ্ঞান এবং যুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে সমাজে বিতর্ক থাকতে হয়। বিতর্ক না থাকলে ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গঠন সহজ হয় না। গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের স্টুডিওতে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার।

সারা দেশ থেকে ১০৪টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ী দল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও রানারআপ দল জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুুজিব হলের প্রতিযোগীদের হাতে ট্রফি ও সম্মাননার চেক তুলে দেন মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন অনেক দিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম, কেন বিতর্ক প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হলো। তখন আমাকে টেলিভিশনের কর্মকর্তারা বললেন, সরকারেরও অনেক সমালোচনা হয়, সে জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি বললাম, সমালোচনা তো হতে হবে। সরকারেরও সমালোচনা হতে হবে।

তিনি বলেন, সমালোচনাবিহীন সমাজ হতে পারে না। সমাজে সমালোচনা থাকতে হবে, দায়িত্বে যারা থাকবে তাদের সমালোচনা অবশ্যই হবে। দায়িত্বে না থাকলে তো সমালোচনা নেই। বিতর্ক হতে হবে, তাহলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। তখন আমি সিদ্ধান্ত দিলাম বিটিভির দুটি কেন্দ্রে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করার।

তিনি বলেন, মানুষ যদি যন্ত্রের মতো জড় পদার্থ হয়ে যায়, নৈতিকতা এবং মানবিকতা হারিয়ে যায়, তাহলে তো মানুষ আর মানুষ থাকে না। এ ক্ষেত্রে এখানে পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটিরই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারও চেয়ে কারও ভূমিকা কম নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর