রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মেধাবী মোত্তাকিনা ও মাহমুদুলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেধাবী মোত্তাকিনা ও মাহমুদুলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গতকাল দুপুরে কালের কণ্ঠ অফিসে মোত্তাকিনা আক্তার ও মাহমুদুল হাসান মুরাদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও এক মাসের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা করে তুলে দেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন রংপুরের মোত্তাকিনা আক্তার ও মাহমুদুল হাসান মুরাদ। মোত্তাকিনার বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট সিংগীমারি গ্রামে ও মাহমুদুল একই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসরাজপুর মাস্টারপাড়ায়। গরিব মাহমুদুল বেড়ে ওঠেন এতিমখানায় আর মোত্তাকিনা সৎ মায়ের অভাবের সংসারে। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির সুযোগ পেয়ে তারা খুশি। কিন্তু বিপাকে পড়েন ভর্তির টাকা ও লেখাপড়ার খরচ কীভাবে চালাবেন তা ভেবে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়, টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না তারা। সংবাদটি দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের নজরে পড়ে। এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত খরচ বহনের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কালের কণ্ঠ অফিসে তাদের ভর্তি ও এক মাসের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা করে তুলে দেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। ২০১৯ সালে এসএসসি ও ২০২১ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান মোত্তাকিনা। মাধ্যমিকে ভালো ফলের পর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু টাকার অভাবে সেখানে ভর্তি হতে না পেরে পড়াশোনা করেন বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে। সেখান থেকেই এবার ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রাণবিদ্যা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অপরদিকে মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে মাহমুদুল হাসান এ বছর ঢাবির আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে মানুষের কল্যাণে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে শুভসংঘের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা, যারা অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। মোত্তাকিনা ও মাহমুদুলের পাশেও দাঁড়িয়েছি যেন তাদের স্বপ্ন পূরণে অর্থ কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। আশা করি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা স্বপ্ন পূরণ করে মানুষের সেবার কাজ করবে।

সর্বশেষ খবর