সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকের নাম পরিবর্তন

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’ করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইনের খসড়া এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি সহযোগিতা চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।  বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালার নাম সংশোধনের একটা প্রস্তাব ছিল। এর আগে যখন পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তখন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা বলেছিলেন, নামটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। সে জন্য তারা তিনটি নাম নিয়ে আসেন। আজকের বৈঠকে আলাপ-আলোচনা করে এটার নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক-২০২২’ করা হয়েছে। অনগ্রসর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সেই উপাধি অনুসারেই এই পদকের প্রচলন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী পদকের সংখ্যা হবে প্রতি বছর ব্যক্তি পর্যায়ে তিনটি এবং সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দুটিসহ মোট পাঁচটি। মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংস্থাকে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ২ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে।

ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন : গবেষণা জোরদারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন-২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ অধীনে এটি আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তবে আগে ছিল সরকারি অফিস হিসেবে। এখন আইন করে এটাকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। খসড়া আইনে ২১টি ধারা রয়েছে। এখানে ১৫ সদস্যের একটি ইনস্টিটিউশন পরিচালনা পরিষদ থাকবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকবেন সভাপতি। একজন মহাপরিচালক থাকবেন। একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। আর মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিয়োজিত হবেন এবং একটা কাঠামো থাকবে।

কাতারের সঙ্গে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি : আইনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতায় কাতারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট ফর কো-অপারেশন ইন দ্য লিগ্যাল ফিল্ড’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটি কাতারের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তি। এর মানে এই নয় যে, আসামি বিনিময় হবে। এটা হলো, ওদের লিগ্যাল সিস্টেমটা কেমন আছে, কীভাবে অপারেট করে, ওদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা কেমন, ওদের জেলা বা এগুলো কীভাবে চলে, তাদের (কাতার) সঙ্গে আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের একটা চুক্তি হবে। চুক্তি হলে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে যে আইনি ক্ষেত্রগুলো আছে, সেখানে সহযোগিতা করা যাবে।

এ ছাড়া বৈঠকে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের প্রটোকল ৫০(এ) এবং ৫৬ সংশোধন অনুসমর্থনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর