মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গুলিস্তান রেলওয়ে মার্কেটের দোকান নিয়ে অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তান রেলওয়ে মার্কেটের দোকান পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায় চার মাস আগে মার্কেটটি ভাঙা হলেও এখন পর্যন্ত সব বিষয়েই অন্ধকারে রয়েছেন তারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মার্কেট ভাঙা বা পুনর্নির্মাণের বিষয়ে তাদের কোনো চিঠি দেয়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এমনকি এ বিষয়ে আলোচনাও করেনি কেউ। ফলে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন মার্কেটের প্রায় ৩০০ দোকান মালিক। তবে ডিএসসিসি জানিয়েছে যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তারা সবাই দোকান বরাদ্দ পাবেন। খুব শিগগিরই মার্কেটটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আলমগীর খান বলেন, ‘আমাদের দোকান ভাঙা হলো। এখন আমরা কী পাব তা জানি না।  আমাদের যদি দোকান দেওয়া হয় তবে সেটার আয়তন কতটুকু, কোনো টাকা জমা দিতে হবে কি না তাও জানি না।

 এ নিয়ে আমরা বৈধ মালিকরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।’

জানতে চাইলে ডিএসসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (মার্কেট সেল) তৌহিদ সিরাজ বলেন, মার্কেটে যাদের বৈধ দোকান ছিল এবং সিটি করপোরেশনের ভাড়াসহ সবকিছু নিয়মিত পরিশোধ করেছে, তারা অবশ্যই দোকান পাবেন। এরই মধ্যে মার্কেটে নির্মাণের টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী বুধবার থেকে কাজ শুরু হবে।

দোকান মালিকদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্লা ডিএসসিসি মেয়র বরাবর একটি আবেদন করেন। যেখানে তিনি মার্কেটের সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের অনিশ্চয়তার কথাও জানান।

এ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম মোল্লা বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত মার্কেট নির্মাণ করতে বলেছি। কেননা এই মার্কেটের ৬০০ ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। মার্কেট নির্মাণে ধীরগতির কারণে দোকান মালিক ছাড়াও কর্মচারীরা কষ্টে আছেন। আমরা সব কাগজপত্র ঠিক করে প্রাপ্যতা অনুযায়ী আগের পজিশনে দোকান বরাদ্দ পাওয়ার নিশ্চয়তা চাই।’

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স মার্কেটটি রেলওয়ে সুপার মার্কেট নামেই পরিচিত। এই মার্কেটটি এক সময় রেলওয়ের মালিকানায় ছিল। আশির দশকে রেলওয়ে সিটি করপোরেশনের কাছে মার্কেটটি হস্তান্তর করে। তখন মার্কেটে ২৯৫টি দোকান ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর