বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
মূল্যায়ন হতে পারে সাবেক ছাত্রনেতাদের

লবিং-তদবিরে মরিয়া পদপ্রত্যাশীরা

চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা যে কোনো সময়

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

লবিং-তদবিরে মরিয়া পদপ্রত্যাশীরা

লবিং-তদবিরে ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম যুবলীগের তিন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদপ্রত্যাশীরা। কয়েক দিন ধরেই চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক কমিটির পদপ্রত্যাশীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। সবকিছু বিবেচনা করেই পৃথক সাংগঠনিক কমিটিতে চলতি মাসের যে কোনো সময়ই নতুন নেতৃত্বের পৃথক কমিটির ঘোষণা আসতে পারে। ইতোমধ্যে কমিটি না থাকলেও শোকের মাসে পদপ্রত্যাশীরা ব্যক্তিগত ছাড়াও বিভিন্নভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। তবে নগর যুবলীগের কমিটি সহসাই না হলেও চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি চলতি মাসে ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং নতুন কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন বেশি হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় ও জেলার শীর্ষ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, গত আগস্ট মাস ছিল শোকের মাস। এই আগস্টের আগে সম্মেলন হলেও শোকের মাস থাকায় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের পৃথক সম্মেলন ছাড়াও পদপ্রত্যাশীদের বায়োডাটাও জমা নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এই বায়োডাটার ওপর এবং দলীয় যোগ্যতা, ত্যাগীসহ নানা বিষয় বিবেচনা করে নতুন নেতৃত্ব আসবে। তিন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ছয় পদের জন্য প্রত্যাশী রয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক নেতা। প্রায় আড়াই হাজারের ওপরে অন্য পদগুলোতেও বায়োডাটা জমা দিয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। একই কথা বললেন উত্তরের সভাপতি প্রার্থী রাজিবুল হাসান সুমনও। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবনেতা এম আর আজিম বলেন, নগর যুবলীগের সভাপতি পদের একজন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছি। নগর ছাত্রলীগকে কোনো ধরনের বদনাম ছাড়া যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছিলাম, ঠিক তেমনিভাবে নগর যুবলীগকেও এগিয়ে নিতে কাজ করতে চাই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।

সেই ধারাবাহিকতায় নানা আন্দোলন-সংগ্রামে দলের নেতাদের নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মধ্যেই মূল্যায়ন হবে। একই কথা বললেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও দক্ষিণ জেলার আবু সাহাদত সায়েম। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহাজাদা বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে খুবই সুন্দর ও সফল হয়েছে পৃথক সম্মেলনও। এই পৃথক কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ৩ হাজারের ওপর বায়োডাটা জমা পড়েছে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর