বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নাচের নান্দনিকতায় সেজেছে শিল্পকলা একাডেমি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নাচের নান্দনিকতায় সেজেছে শিল্পকলা একাডেমি

নাচের মুদ্রার শৈল্পিকতার সঙ্গে গান, সেই সঙ্গে অভিনয়ের দ্যুতি। নাচ, গান ও অভিনয়ের অনন্য সংযোজনে ভিন্নরূপে সাজে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন। আর জমকালো এই আয়োজনে শিল্পীদের মোহনীয়তায় তাদের প্রতি অভিনন্দনের করতালির বৃষ্টির ধারা বইয়ে দিয়েছিল দর্শক শ্রোতারা। শরতের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যাটি গতকাল মুগ্ধতার চাদরে এভাবেই ঢেকে রেখেছিল শিল্পী ও দর্শকরা। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত দুই দিনের নৃত্যনাট্য উৎসবের সমাপনী আসরে এমনই বর্ণাঢ্য ছিল জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন। এদিন পরিবেশিত হয় মানস কর পরিচালিত নৃত্যনাট্য ‘দেওয়ান ভাবনা’; ল্যাডলি মোহন মৈত্র পরিচালিত ‘বিদায় অভিশাপ’ ও কামরুল হাসান ফেরদৌস পরিচালিত ‘রোমিও জুলিয়েট’ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা। পিতৃহারা সুনাইর বিষপানে মৃত্যুর মাধ্যমে সুনাই এবং মাধবের এক গভীর প্রেমের কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয় ‘দেওয়ান ভাবনা’ নৃত্য নাট্যটিতে। দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেন কিশোরগঞ্জের একতাঙ্গন পারফর্মিং আর্টস একাডেমি। এর বিভিন্ন চরিত্রে অংশ নেন মানস কর, ইমরান কাউসার, মিষ্টি ঘোষ, প্রান্ত বণিক, পল্লব কর, হবি শেখ প্রমুখ।

নগুন সরকার, মৃন্ময়ী রায় মেঘা, হিয়া, উপমা বসাক, সেতা রায় তৃণা, মৃত্তিকা, তানহা, বর্ষা, রূপকথা, নদী, কাব্য, তানিয়া আক্তার রুপা, ছোটন, হিরণ, তানজিম, দীপ্ত, রোহান, আবদুল্লাহ, আকাশ, সাকিব এবং লুৎফর রহমান।

দ্বিতীয় পরিবেশনা ‘বিদায় অভিশাপ’ নৃত্যনাট্যের মূল বিষয়বস্তু ছিল সনাতন ধর্মের অনুসারীদের দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্র কচ ও দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানীর কথোপকথন। মৃত সঞ্জীবনী মন্ত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে কচ দৈত্যপুরীতে আগমন করেন। সহস্র বছরের বিদ্যা চর্চার শেষে কচ, দেবযানীর কাছে বিদায় প্রার্থনা করেন। এই বিদায়কালীন উভয়ের যে বাক্যালাপ তারই ওপর ভিত্তি করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বিদায় অভিশাপ’ কবিতাটি রচনা করেন। সেই কবিতাটির আলোকেই এই নৃত্যনাট্যটি রচিত। এতে অংশ নেন আলো রানী মৈত্র, ল্যাডলী মোহন মৈত্র, মিলন, কৃশ দাস, মিথিলা আচার্য, সিফাত খাঁন কোয়েল, অর্ণিতা ভট্টাচার্য প্রকৃতি, পৌষালী মৈত্র শ্রুতি, বৈশাখী রানী চৌধুরী, প্রিয়ন্তী দাস, প্রগতি দে, স্বস্তিকা চক্রবর্তী, অংকিতা সাহা, মিথিলা প্রামাণিক, আনজুমান নাঈমিন ঋদ্ধি, তাবীন তাসনিম সুমাইয়া, নীরব কুমার, তানভীর আহমেদ, মুশফিকুর রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, ইফতেখার হোসেন, আতাউর রহমান, স্বরূপ প্রামাণিক, আদিল হোসেন, রাজ কুমার বর্মণ, অর্পণ মৈত্র শুদ্ধ, মৌঋতা আচার্য মিথুন, শতাব্দী, সম্পূর্ণা, সকাল, স্বাগতা এবং সঙ্গীতা।

শেকসপিয়রের বিখ্যাত প্রেমকাহিনি ‘রোমিও জুলিয়েট’ অবলম্বনে আসরের শেষ নৃত্যনাট্যে মানব-মানবীর প্রেম প্রাধান্য পেয়েছে। যা তাদের বংশগত বিরোধের কারণে বিয়োগান্তক পরিণতি পায়। নৃত্যদল বহর পরিবেশিত এই নৃত্যনাট্যে অংশ নেয় জাবেদ, লিমন, সোহেল, সাগর, দিপু, আমিনুল, আবির, শংকর, জিসান, তিলক, পলাশ, প্রিতম, মাসুক,  শফিক, জসিম, মিম, চন্দ্রা, অদিতি, বৃষ্টি, হ্ন্ত্তিকা, রিয়ন্তী, টুম্পা, মধুরিমা, মারজিয়া, সামিয়া, দিঘী, চৈতী, প্রজ্ঞা, রাত্রী, মিম, চন্দ্রা, অদিতি, বৃষ্টি, হ্নত্তিকা, রিয়ন্তী, টুম্পা, মধুরিমা, মারজিয়া, সামিয়া, দিঘী, চৈতী, প্রজ্ঞা, রাত্রী, ঐশী, রোজা, সাথী এবং তাহমিনা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর